দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় ফেলোশিপ পেলেন ইবি শিক্ষক

দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় ফেলোশিপ পেলেন  ইবি শিক্ষক

দক্ষিণ কোরিয়ার হ্যালিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরে সাথে ড. রকিব।

দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ ফেলোশিপ কোরিয়ান ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এনআরএফ) পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপের জন্য মনোনিত হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষক।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রকিবুল ইসলাম রাকিব। মোট ৫১ মাসের জন্য এ ফেলোশিপ পেলেন তিনি।

জানা যায়, ৩ থেকে ৫ বছর মেয়াদী এ ফেলোশিপের জন্য পিএইচডি শেষ করেই ৫ বছরের মধ্যে আবেদন করতে হয়। আবেদনে ৩০ শতাংশ কোরিয়ান এবং বাকি ৭০ শতাংশ বিদেশীদের জন্য এ ফেলোশিপ ব্যবস্থা। 'ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন অব কোরিয়া'র অর্থায়নে এ ফেলোশিপ সম্পন্ন করতে হয়। এটি সে দেশের সরকারি ফেলোশিপ। 


গত ৭ জুলাই এ ফেলোশিপের জন্য আবেদন করেন ড. রকিব। পরে গত ২০ আগস্ট এনআরএফ তাকে পোস্ট ডক্টরাল ক্যান্ডিডেট হিসেবে  মনোনীত করেন। আগামী ১ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত (৫১ মাস) তিনি এ ফেলোশিপের জন্য মনোনিত হলেন। যার জন্য বাৎসরিক মোট ৭০ মিলিয়ন কোরিয়ান ওন সম্মানি পাবেন তিনি।

এর আগে ড. রকিব দক্ষিণ কোরিয়ার হ্যালিম  বিশ্ববিদ্যালয়ের (Hallym University) বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ থেকে কলেজ অব মেডিসিনের অধিন ডক্টরেট (ডক্টর অব মেডিসিন) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০০-২০০১ শিক্ষাবর্ষের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ফেলোশিপের বিষয়ে ড. রকিবুল ইসলাম  বলেন, মূলত ডক্টরেট ডিগ্রি সফলতার সাথে সম্পন্ন করার জন্যই  আমি এই ডক্টরেটোত্তর পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপে মনোনিত হয়েছি। আমার একটি আর্টিকেল ‘হাই ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর’ জার্নালে প্রকাশিত হওয়ায় কোরিয়ান এনআরএফ উক্ত আর্টিকেলটি ২০১৮ সালের একটি সিগনিফিকেন্ট পেপার হিসাবে সিলেক্ট করেন। এছাড়া আরো একটি পেপার বেস্ট রিডিং এবং টপ ডাউনলোডেড পেপার হিসেবেও ‘উইলি পাবলিশার’ দ্বারা স্বীকৃতি পায় ২০১৮-২০১৯ সালে। উক্ত আর্টিকেলটি ‘জার্নাল অব সেলুলার ফিজিওলজিতে’ প্রকাশিত হয়। এসব কারনেই হয়তো আমি প্রতিযোগীতায় সফল হতে পেরেছি।