আম্পায়ারদের এলিট প্যানেল যেভাবে চূড়ান্ত হয়

আম্পায়ারদের এলিট প্যানেল যেভাবে চূড়ান্ত হয়

ছবি: সংগৃহীত

শুক্রবার (২৯ মার্চ) আম্পায়ারদের সবশেষ সংশোধনকৃত এলিট প্যানেলের তালিকা প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। এরপর থেকেই বাংলাদেশে ক্রিকেট আম্পায়ারিং নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হরহামেশাই নিরপেক্ষ আম্পায়ার দেখা যায়। তবে এর আগে বিষয়টি এমন ছিল না। ইতিহাস বলছে ১৭৭৪ সালে ক্রিকেটে বাধ্যতামূলক করা হয় আম্পায়ার। সেই ঘটনার প্রায় একশ বছর পর ১৮৭৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন স্বাগতিক দলের আম্পায়াররাই।

এর মধ্যে ব্যতিক্রম ছিল ১৯১২ সালে হওয়া অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ত্রিদেশীয় টেস্ট সিরিজ। এই ত্রিদেশীয় সিরিজের ৭৪ বছর পর বদলে যায় চিত্র। এর মাস্টার মাইন্ড ছিলেন ইমরান খান। ১৯৮৬ সালে লাহোরে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ম্যাচে দেখা যায় দুই ভারতীয় আম্পায়ারকে।

দুই বছর পরীক্ষার পর ১৯৯৪ সালে প্রতি টেস্টে একজন নিরপেক্ষ আম্পায়ার রাখা নিয়ম চালু করে আইসিসি। এরপর ২০০২ সালে প্রতি ম্যাচে দুজন নিরপেক্ষ আম্পায়ার রাখার নিয়ম চালু হয়। একই বছর এপ্রিলে সেরা আম্পায়ারদের নিয়ে গঠন করা হয় একটি প্যানেল। যার নাম দেওয়া হয় এলিট প্যানেল অব আইসিসি আম্পায়ার্স। 

এখন সেই অভিজাত আম্পায়ারদের দলেই জায়গা করে নিয়েছেন শরফুদ্দৌলা। তিনি সহ বর্তমানে ১২ জন আম্পায়ার এলিট প্যানেলে রয়েছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এলিট প্যানেল কী? সহজ উত্তরে বলা যায় বাছাইকৃত সেরা আম্পায়ারদের নিয়ে গড়া একটি প্যানেল।

বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা এই প্যানেলে আম্পায়ারদের বাছাই ও নিয়োগ দিয়ে থাকে। আইসিসির আম্পায়ার্স সিলেকশন প্যানেল, আম্পায়ারদের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করে তালিকায় সংযোগন-বিয়োজন করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে নির্বাচিত হয় এলিট প্যানেল আম্পায়ার?

ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে আম্পায়াররা দেশের জাতীয় প্যানেলে জায়গা করে নেন। সংশ্লিষ্ট বোর্ডের সুপারিশকৃতরা জায়গা পান আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেলে। এরপর আইসিসির আম্পায়ার্স নির্বাচক কমিটি, বার্ষিক পর্যবেক্ষণ এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ভালো পারফরম্যান্স করা আম্পায়াররা এলিট প্যানেলে জায়গা পান।

এবার এই নির্বাচক কমিটিতে ছিলেন আইসিসির ক্রিকেট মহাব্যবস্থাপক ওয়াসিম খান, সাবেক আম্পায়ার টনি হিল, সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, এবং বিশেষজ্ঞ পরামর্শক মাইক রাইলি। এই প্যানেলে থাকা আম্পায়াররা বছরে অন্তত ৮ থেকে ১০টি টেস্টে এবং ১০ থেকে ১৫টি ওয়ানডে পরিচালনা করার সুযোগ পান।