হাইওয়ে পুলিশ প্রধান বলেছেন, ঈদুল ফিতরে মহাসড়কে তিন স্তরের ব্যবস্থা থাকবে

হাইওয়ে পুলিশ প্রধান বলেছেন, ঈদুল ফিতরে মহাসড়কে তিন স্তরের ব্যবস্থা থাকবে

ছবিঃ সংগৃহিত।

হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, ঈদ ঘিরে মহাসড়কে তিন স্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আমরা ঈদের আগে যেমন আছি, ঈদের দিন যেমন থাকব, ঈদের পরেও হাইওয়ে পুলিশ মাঠে থাকবে। এর বিশেষ কারণ রয়েছে। ঈদের আগে সবাই দু-একদিনের মধ্যেই বাড়িতে ফেরে। আসার সময় কিন্তু এমনটা হয় না। অনেকেই ধীরে ধীরে শহরে ফিরে। এতে করে রাতে সড়ক ফাঁকা থাকে। তাই অনেকে ওভার স্পিডে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করে এবং দুর্ঘটনার পরিমাণ কিন্তু ঈদের পরেই বেড়ে যায়।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রার সার্বিক অবস্থা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন হাইওয়ে পুলিশ প্রধান। 

রবিবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার আলেখারচর ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান এবং হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলমসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। 

এ সময় হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, খোলা ট্রাক, পিকআপ, পণ্য পরিবহনে অনেক যাত্রী উঠে বসে। এটা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা এই বছর কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি যেন কোনো যাত্রী সাধারণ এসব পরিবহনে না উঠে। আমরাও কিন্তু আইন প্রয়োগে কঠোর থাকব। চালক ও মালিকদেরও আমরা অনুরোধ করব, এসব ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার যেন না করে। এতে আমাদের ঈদযাত্রা নিরাপদ হবে। 

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে আছে উল্লেখ করে হাইওয়ে পুলিশের প্রধান বলেন, এই মহাসড়কে এক হাজার ৪২৭টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আমরা এখানো উদ্বোধন করতে পারিনি কিন্তু আমরা এর সুবিধা ভোগ করতে পারছি। প্রতিটি হাইওয়ে পুলিশ সদস্যকে বডি ওন ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। এতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলার সড়কগুলি রয়েছে সেখানে কিশোররা হেলে দুলে মোটরসাইকেল চালান। এটা কিন্তু খুবই ভয়ঙ্কর; দুর্ঘটনার কারণ। আমি জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন সবাইকে অনুরোধ করবো বিষয়টি যেন খেয়াল রাখে। তবে আমরা মহাসড়কে স্পিড গান ও পুলিশের সার্বক্ষণিক টল রয়েছে এমন কিছু হলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই বলবো আনন্দ যেমন নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন, তেমনি আনন্দ নিয়ে যেন কর্মস্থলে ফিরতে পারেন সবাই সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি, চালক, মালিক, যাত্রীসবাইকে সচেতন হতে হবে। 

হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি, চালক, যাত্রী ও পথচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের প্রতিবন্ধকতা জানতে চান।