৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম বিরল সূর্যগ্রহণ আজ

৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম বিরল সূর্যগ্রহণ আজ

ছবি: সংগৃহীত

আজ ৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম বিরল সূর্যগ্রহণ ঘটবে। সোমবার এই  বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব। সূর্যগ্রহণের ঘটনাটি নাসা সরাসরি সম্প্রচার করবে। পৃথিবীর সব অঞ্চল থেকে পূর্ণগ্রাস এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না বলে এরইমধ্যে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। 

৭ দশমিক ৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী এ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ওকলাহোমা, আরকানসাস, মিসৌরি, ইলিনয়, কেনটাকি, ইন্ডিয়ানা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া, নিউইয়র্ক, ভার্মন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও মেইন অঙ্গরাজ্যে। মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত সৈকত শহর মাজাটলানের কাছে দর্শক ভালোভাবে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ উপভোগ করতে পারবেন। 

বিজ্ঞানীদের মতে, গত ৫০ বছরের মধ্যে এবারে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দীর্ঘতম। সর্বশেষ ১৯৭৩- এ রকম দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল।

পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্য যখন এক সারিতে চলে আসে, তখন পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে চাঁদ অবস্থান করে, তখনই গ্রহণ হয়। চাঁদের অবস্থান অনুযায়ী সূর্যগ্রহণের ধরণ নির্ভর করে। চাঁদের ছায়ায় সূর্য পুরোপুরি ঢেকে গেলে তাকে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ বলা হয়। আজ ৮ এপ্রিল সেই পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হতে চলেছে। এদিন আকাশে চাঁদের আকারও অন্যান্য দিনের তুলনায় বড় হবে।

চাঁদের আকার সূর্যের চেয়ে অনেক ছোট হলেও চাঁদ পৃথিবীর অনেক কাছাকাছি রয়েছে। তাই তার ছায়া পৃথিবীর দৃশ্যপট থেকে সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দেবে।

প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশাবলের মতে, ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী আজ স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নাসা এই ঘটনা লাইভ সম্প্রচার করবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ৮ এপ্রিল রাত ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত দেখা যাবে। এই ঘটনার লাইভ স্ট্রিম নাসার ইউটিউব চ্যানেলে ও নাসাপ্লাস ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করবে।

এবারের সূর্যগ্রহণটি ৭ দশমিক ৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে। এত দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ ৫০ বছরের মধ্যে একবার ঘটে। আবার ২১৫০ সালে এই বিরল সূর্যগ্রহণের দেখা মিলবে। সূর্যগ্রহণের আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হলো- ঘটনার সময়। সূর্যের ১১ বছরের ঘটনাচক্রের চূড়ান্ত পর্যায়ের সঙ্গে সূর্যগ্রহণটি মিলে যাবে। অর্থাৎ এ সময় সৌর ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণে আরও বেশি সৌর কলঙ্ক এবং করোনা (সূর্যের বাইরের শ্বেত অংশ) দেখা যাবে।

সাড়ে সাত মিনিটের গ্রহণ নিয়ে তাই নতুন করে আগ্রহীদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।