কেএনএফ সংশ্লিষ্টতায় আটক ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর
ফাইল ছবি
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ৩টি ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের মামলায় ‘কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ সংশ্লিষ্টতায় আটক ৫৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদের মধ্যে ১৮ জন নারী সদস্য রয়েছে। আদালতের নির্দেশনায় অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে কেএনএফ সংশ্লিষ্টতায় বিভিন্ন মামলায় আটক ৫৭ জনকে বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোসাইন এর এজলাসে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে নতুন গ্রেফতার হওয়া ৪ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। অপর ৫৩ জনের জন্য রিমান্ড আবেদন পেশ করেন কোর্ট ইন্সপেক্টর বজলুর রহমান। অন্যদিকে আসামিদের জামিনের আবেদন পেশ করেন সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট কাজী মহতুল হোসেন যত্ন। বিজ্ঞ আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩ জনকে ২টি মামলায় ২ দিন করে ৪ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে।
গত ২ এপ্রিল রাতে রুমা উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে পুলিশের ১০টি অস্ত্র এবং আনসারের ৪টি অস্ত্র লুট করে নেয় সন্ত্রাসীরা। যাবার সময় তারা ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন ৩ এপ্রিল দুপুরে পার্শ্ববর্তী উপজেলা থানচির সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা দুটি ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার থেকে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ দুটি সন্ত্রাসী হামলার জন্য স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ এবং তাদের সামরিক শাখা ‘কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)’ কে দায়ী করা হয়। এ ঘটনার পর বান্দরবান জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর বিশেষ চিরুনি অভিযান শুরু হয়।
অভিযানের অংশ হিসেবে ৮ এপ্রিল রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ জন নারীসহ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী। অন্যদের বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করা হয়।
সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন তথ্য প্রকাশ করেন। এখনো অভিযান চলছে।
র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, সন্ত্রাসীরা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে