সিলেটে ভাই-ভাতিজাদের হাতে সাবেক ইউপি সদস্য খুন

সিলেটে ভাই-ভাতিজাদের হাতে সাবেক ইউপি সদস্য খুন

প্রতীকী ছবি

জমির সীমানার নিয়ে বিরোধের জের ধরে সিলেটের কানাইঘাটে সংঘর্ষের সময় আপন ভাই-ভাতিজাদের হাতে সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন খুন হয়েছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলায় বড়চতুল ইউনিয়নের হারাতৈল মাঝবড়াই গ্রামের মাঝবড়াই জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন নিহতের বড় ভাই ওমান প্রবাসী আব্দুল্লাহ (৫৭) ও অপর ভাই দুবাই প্রবাসী ছয়ফুল্লাহ (৬০)। হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
 
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মসজিদের ইমামের ঘর নির্মাণ নিয়ে মসজিদে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে কথাবার্তা হয়। এসময় জয়নাল আবেদীন সীমানা নির্ধারণ করে ইমামের ঘর তৈরি করতে বললে তার বড় ভাই সমছুল হক ও তার ছেলে আলমাছ উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে সমছুল হক তার ছেলে আলমাছ উদ্দিন, কামাল আহমদ, সুহেল আহমদ, রুহুল আহমদসহ আর কয়েকজনকে নিয়ে জয়নাল আবেদীনের বসত বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে যান। বিকেলে জয়নাল আবেদীন বাড়ি থেকে বের হলে সমছুল হক ও তার ছেলে আলমাছ, সুহেল, কামাল, রুহুলসহ কয়েকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জয়নাল আবেদীনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন। এসময় তার চিৎকারে অপর ভাই ছয়ফুল্লাহ ও আব্দুল্লাহ এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে রাস্তার পাশের ক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয়। এদিকে ঠেকাতে এসে আহত হন তাদের চাচাতো ভাই আব্দুর রশিদ ও আব্দুল কুদ্দুস।
 
আহতদের গুরুতর অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে জয়নাল আবেদীনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এছাড়া নিহতের অপর দুই ভাই আব্দুল্লাহ ও ছয়ফুল্লাহকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  
 
খবর পেয়ে কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি অলক কান্তি শর্মা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
 
ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, হত্যার ঘটনায় জড়িত সমছুল হক এবং তার ছেলে সুহেল আহমদ ও কামাল আহমদকে আটক করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে।