নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষিকার স্বামী ও সন্তানকে হয়রানির অভিযোগ

নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষিকার স্বামী ও সন্তানকে হয়রানির অভিযোগ

ফাইল ছবি

ইবি প্রতিনিধি: বাইকে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে বের হওয়ার সময় স্বামী ও সন্তানকে হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সেলিমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই শিক্ষিকা। বুধবার রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষিকা বলেন, গত ১৪ এপ্রিল  তারিখ দুপুর আনুমানিক ১২ টা ১৫ মিনিটের সময় মোটর বাইক নিয়ে মেইন গেট দিয়ে আমার স্বামী ও ছেলে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সময় গেটে উপস্থিত নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম তাদেরকে মেইন গেট দিয়ে বের হতে গেলে হয়রানি করেন এবং আক্রমণাত্মক আচরণ করে নানা রকম আপত্তিকর কথাবার্তা বলে চরমভাবে অপমান করেন। একই সাথে তিনি আমার স্বামীর সামনে আমাকে উদ্দেশ্য করে অপমানজনক কথাবার্তাও বলেন।

আমার স্বামী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন গ্রাজুয়েট এবং জনাব সালামের বেশ পরিচিত। তাই তিনি অতান্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সেখান থেকে চলে যান এবং আমাকে বিষয়টি জানান। এ ঘটনায় আমি একজন শিক্ষক হিসাবে চরমভাবে অপমানিত হই। সর্বোপরি ঘটনাস্থলে আমা-ছেলে তার বাবার সাথে ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন গ্রাজুয়েটের সন্তান হিসাবে মেইন গেটে এমন হয়রানি ও অপমানজনক আচরণে সে মানসিকভাবে ভীষণ আঘাত পেয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষক সমাজের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে আমি বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে প্রক্টর মহোদয়কে জানাই এবং এই ঘটনার সম্মানজনক সমাধান করার অনুরোধ করি। কিন্তু অদ্যাবধি আমি প্রক্টর মহোদয়ের সাথে বারবার যোগাযোগ করার পরেও এ বিষয়ে কোনো সম্মানজনক সমাধান পাইনি। যা আমাকে একজন শিক্ষক হিসাবে মর্মাহত করেছে।

এ বিষয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সেলিম বলেন, ঈদের পর বহিরাগতদের চাপে মেইনগেটে অনেক ভীড় থাকে। ম্যামের স্বামী বাইক নিয়ে ঢোকা বা বের হওয়ার সময় বাইকের হর্ন বাজিয়ে মেইনগেটে উপস্থিত দারোয়ানদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে মেইনগেট খুলে দিতে বলেন। পাশের ছোট গেট দিয়েও তিনি বাইক নিয়ে যেতে পারতেন। তার স্বামীর সাথে কোনরূপ খারাপ ব্যবহার করিনি। আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করেছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকের সাথে কথা বললে আসল সত্য সামনে আসবে।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেছি। আমি আমার জায়গা থেকে যতটুকু করা যায় ততটুকু করেছি।

রেজিস্টার এইচ এম আলী হাসান বলেন, অভিযোগপত্রটি হাতে পেয়েছি। শীঘ্রই উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিনিই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিবেন।