প্যাংগংয়ে মুখোমুখি ভারত-চীন

প্যাংগংয়ে মুখোমুখি ভারত-চীন

লাদাখে ভারতীয় সেনা তৎপরতা—ফাইল ছবি।

শনিবার রাত এবং রবিবার সকালে দফায় দফায় সংঘর্ষের পরে দুই পক্ষের আলোচনা শুরু হলেও এখনও উত্তেজনা রয়েছে প্রবল। পিপলস লিবাবেশন আর্মি বিতর্কিত এলাকায় আর্মার্ড রেজিমেন্ট মোতায়েন করায় একই পদক্ষেপ করেছে ভারতীয় সেনাও। বেশ কিছু এলাকায় ভারত-চীনের ট্যাঙ্ক বাহিনী পরস্পরের নিশানায় রয়েছে। প্যাংগং পরিস্থিতি পর্যালোচানার জন্য মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। খবর আনন্দবাজার।

এই সময়ে মঙ্গলবার নয়াদিল্লির চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেন, ‘‘চিনে সেনা সংযত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। আমরা চাই, ভারতীয় সেনা উস্কানিমূলক আচরণ বন্ধ করুক এবং বৈঠকে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করুক। ভারতীয় সেনা এলএসি লঙ্ঘন করার ফলেই এমন জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।’’ 

অন্য দিকে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই একটি ফরাসি প্রতিষ্ঠান আয়োজিত বিদেশনীতি সংক্রান্ত আলোচনা সভায় বলেছেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদ মেটাতে আমরা প্রস্তুত। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস করা হবে না।"

সূত্র জানাচ্ছে, সোমবার চুশুলে ব্রিগেডিয়ার স্তরের বৈঠকেও চীনের তরফে সেনা পিছিয়ে যাওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। কিন্তু কেন এমন দাবি? ওই সূত্রের জবাব, ২৯ অগস্ট রাতে সমঝোতা সূত্র ভেঙে প্যাংগং লেকের দক্ষিণে ভারতীয় এলাকায় ঢুকতে গিয়ে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে পিছু হটে চীনা সেনা। সেই সুযোগে, চুশুল থেকে কয়েকটি দিকে চিন নিয়ন্ত্রিত এলাকার অন্দরে বেশ কয়েক কিলোমিটার ঢুকে পড়েছে ভারতীয় সেনা। 

’৬২-র যুদ্ধের পরে এই প্রথম ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে এলএসি অতিক্রম করে চীনা এলাকা দখলের অভিযোগ তুলেছে বেজিং।