কর্ণফুলী নদী থেকে বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমান উদ্ধার

কর্ণফুলী নদী থেকে বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমান উদ্ধার

সংগৃহীত

প্রায় ১১ ঘণ্টা টানা অভিযান চালিয়ে পতেঙ্গায় বঙ্গোপসাগরের মোহনায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ ‘বলবান’র সহায়তায় বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ১০টার দিকে বিমানটি উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল এলাকায় বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আইএসপিআর জানায়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা হয়েছে। 

উড়োজাহাজটির দুজন পাইলটকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ। এ ঘটনায় আহত আরেক পাইলট এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরে আগুন ধরে যায়। এ সময় বিমানে থাকা দুজন পাইলট প্যারাস্যুট দিয়ে নেমে যান। একপর্যায়ে বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়। 

ইয়াক–১৩০ রাশিয়ার তৈরি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। দুই ইঞ্জিনের এই উড়োজাহাজ যুদ্ধের সময়েও ব্যবহার উপযোগী। স্বাধারণত স্বল্প মাত্রার আক্রমণে এই ধরনের বিমান ব্যবহার করা যায়।

২০১৪ সালের রাশিয়ান ঋণচুক্তির আওতায় এ মডেলের ১৬টি উড়োজাহাজ বিমানবাহিনীর জন্য কেনা হয়। এগুলো ২০১৫ সাল থেকে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান হিসেবে ব্যবহার করছে বিমানবাহিনী।

চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর মিডিয়া বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হবার পর সকল ১১টা থেকে বিমান বাহিনীর সাথে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় নৌবাহিনী। নদীর তীব্র স্রোত ও জোয়ারের বিপরীতে লড়াই করে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল আধুনিক যন্ত্রপাতির সহযোগিতায় বিমানটি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

সর্বশেষ রাত ১০টার দিকে নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ বলবানের সহায়তায় বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানটি নদীর তলদেশ থেকে উপরে তুলে আনতে সক্ষম হয়।

রাত ১১টার দিকে বিমানটি পরিদর্শন করেছেন নৌ ও বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বর্তমানে বিমানটি বিমানবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।