বাংলাদেশকে লজ্জা দিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশকে লজ্জা দিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল যুক্তরাষ্ট্র

সংগৃহীত

বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের প্রস্তুতি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। আইসিসির জমজমাট এই টুর্নামেন্টের আগে নবাগত যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হেরেছে লাল-সবুজের দল। এবার টাইগারদের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেই লড়াইয়ে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। 

আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানের সংগ্রহ পায় মোনাক প্যাটেলের দল। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ফের টপ অর্ডারে ব্যর্থ বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। তাতে ৬ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে দিয়ে যেকোনো সংস্কনেই এই প্রথম তারা কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে টানা দুই জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল।যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১৪৫ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। ওপেনিংয়ে তামিমকে নিয়ে এসেও চিত্র বদলাতে পারেননি টাইগাররা। ব্যাক্তিগত রানের খাতা খোলার আগেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সৌম্য।

এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট হাতে নামেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। তাকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর থাক্কা সামাল দেন তানজিদ হাসান তামিম। এই দুই ব্যাটার ২৯ রানের জুটি গড়েন। তবে দলীয় ৩০ রানে ফের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৫ বলে ১৯ রান করে আউট হন তানজিদ তামিম। 

তামিমের বিদায়ে ব্যাট হাতে বাইশ গজে আসেন তাওহীদ হৃদয়। তাকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটি গড়েন টাইগার অধিনায়ক। তবে থিতু হয়ে বেশিক্ষন টিকতে পারেননি শান্ত। দলীয় ৭৮ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ৩৪ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। 

শান্তের বিদায়ে উইকেটে আসেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তাকে নিয়ে চাপ সামলে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন হৃদয়। তবে দলীয় ৯২ রানে আউট হয়ে সাজঘরে যান হৃদয়। যাবার আগে ২৫ রান করেন তিনি। এরপর ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৪ বলে ৩ রান করে আউট হন তিনি।

এরপর দ্রুতই তিন উইকেট হারয় বাংলাদেশ। তাতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় টাইগাররা। শেষ ব্যাটার হিসেবে রিশাদ আউট হলে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। তাতে ৬ রানের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন আলি খান। 

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন মোনাক প্যাটেল ও স্টিভেন টেইলর। শুরুটা ধীর গতির করলেও ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়ান তারা দুজন। তবে দলীয় ৪৪ রানে স্বাগতিকদের দুই ব্যাটারকে ফেরান রিশাদ হোসেন। তার  ঘূর্ণিতে কাটা পড়েছেন স্টিভেন টেইলর ৩১ ও আন্দ্রিয়াস গোউস শূন্য রানে। দ্রুতই দুই উইকেট হারিয়ে হোঁচট খায় স্বাগতিকরা।

তবে সেই চাপ সামলে অ্যারন জোনসকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকেন অধিনায়ক মোনাক। এই দুই ব্যাটারের বড় সংগ্রেহ ভীত গড়ে যুক্তরাষ্ট্র। তবে দলীয় ১০৪ রানে অ্যারন আউট হলে ভাঙে এই জুটি। সাজঘরে যাবার আগে ৩৪ বলে ৩৫ রান করেন তিনি।

এরপর উইকেটে আসেন আগের দিন যুক্তরাষ্ট্রকে ম্যাচ জয়ে ভূমিকা রাখা কোরি অ্যান্ডারসন। তবে সুবিধা করতে পারেননি কোরি।  ১০ বলে ১১ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে বোল্ড হন তিনি। অ্যান্ডারসনের বিদায়ের পর পরই সাজঘরে ফিরে যান অধিনায়ক মোনাক। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ৩৮ বলে ৪২ রান করেন এই ব্যাটার। 

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানের সংগ্রহ পায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ২ উইকেট করে উইকেট নেন রিশাদ, সাকিব ও শরিফুল।