অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাস টিকা রফতানির ক্ষেত্রে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আসন্ন দিনগুলোতে স্থানীয়ভাবে টিকার চাহিদা বাড়বে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা
সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা দাবি করলো তাদের করোনা ভ্যাকসিন বয়স্কদের শরীরে ৮০ শতাংশ কার্যকর। রক্ত জমাট বাঁধার কোনো ঝুঁকি নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন নিরাপত্তা বিষয়ক বৈশ্বিক উপদেষ্টা কমিটি বলেছে, যুক্তরাজ্য-সুইডিশ অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ঝুঁকিমুক্ত। খবর তাসের।
ভ্যাকসিন নেয়ার পর ব্লাড ক্লট বা রক্ত জমাট বাঁধার অভিযোগ তুলে ইউরোপের কয়েকটি দেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার ব্যবহার স্থগিত করলেও বাংলাদেশে ভ্যাকসিন কার্যক্রম স্থগিত করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা আবিষ্কৃত করোনাভাইরাস টিকা প্রয়োগ স্থগিত না করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এটি নিরাপদ বলেও মত দেয়া হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস টিকার প্রয়োগ বিশ্বের অনেক দেশে স্থগিত হলেও বাংলাদেশের এই টিকার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন থেকে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সত্যতা সম্পর্কে কোন প্রমাণ নেই এবং কোন দেশের কোভিড-১৯এর এই টিকা দেয়া বন্ধ করা উচিত নয়।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাস টিকার ব্যবহার সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখল ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং আইসল্যান্ড। কারণ ওই দেশগুলিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য।