সারা বিশ্বে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণকারীরা নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যেই কোভিডের এই টিকা সারা বিশ্ব থেকে তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রস্তুতকারী কোম্পানি। তারই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা গ্রহণ করেছেন তারা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগছেন কী-না তা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা
অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড টিকা 'কোভিশিল্ড' এবং 'ভ্যাক্সজেভরিয়া'র বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই আবহে বিখ্যাত ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা বৈশ্বিকভাবে নিজেদের সব করোনা টিকা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের লড়াইয়ে সংহতির অঙ্গীকার হিসেবে গ্লোবাল শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স-এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের আরো দুই কোটি ১২ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে ফ্রান্স।
ঢাকার সব জেলা ও মহানগরে আগামীকাল সোমবার থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় টিকার ডোজ প্রয়োগ শুরু হবে। এছাড়া আগমী ৭ আগস্ট দেশের সকল কেন্দ্রে এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হবে।
জাপানের কাছ থেকে টিকা প্রাপ্তির ফলে দ্বিতীয় ডোজের চিন্তা দূর হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী দু’একদিনের মধ্যেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া শুরু হবে।
ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পর দেহে তৈরি হওয়া সামগ্রিক অ্যান্টিবডির মাত্রা ছয় সপ্তাহের মধ্যেই কমা শুরু হতে পারে। আর ১০ সপ্তাহের মধ্যে তা ৫০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
বাংলাদেশ অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩৫ লাখ টিকা পেতে যাচ্ছে। টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে এই টিকা দেশে আসার কথা রয়েছে।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, কোভ্যাক্স কর্মসূচি থেকে ১০ লাখ ৮০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
দেশে এ পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড নিয়েছেন দেশের ১ কোটি ৫৪ হাজার ৪৩ জন মানুষ। এদের মধ্যে পুরুষ ৬৩ লাখ ১৩ হাজার ৯১৮ এবং নারী ৩৭ লাখ ৪০ হাজার ১২৫ জন।