পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে বিতর্ক ও শঙ্কার মধ্যেই দুই দেশের প্রতিবেশী বেলারুশের সামরিক বাহিনীর সাথে যৌথ মহড়া শুরু করেছে রুশ সামরিক বাহিনী।
ইউক্রেন
এমানুয়েল মাক্রোঁ মস্কো যাচ্ছেন আজ (সোমবার)৷ সফরের প্রধান উদ্দেশ্য- রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আশঙ্কা কমানো৷
রাশিয়ার সাথে যেকোনো সময় যুদ্ধ বেধে যেতে পারে এ আশঙ্কায় ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে সম্ভাব্য লড়াইয়ের জন্য তৈরি করে তুলছে নানা দেশ। তার মধ্যে একটি হচ্ছে তুরস্ক। তুরস্কের তৈরি ডজন ডজন ড্রোন ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে। আর শুধু তাই নয়, আংকারা আর কিয়েভের মধ্যে একটি নতুন চুক্তিও হয়েছে, যার ফলে ইউক্রেনের কারখানাতেই এখন তৈরি হবে তুরস্কের ডিজাইন করা ড্রোন
রাশিয়া ইউক্রেনে বড় ধরনের আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এ ধরনের হামলার জন্য যে সামরিক শক্তি প্রয়োজন তার ৭০ শতাংশ তারা মোতায়েন করেছে।যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা পর্যালোচনা উদ্ধৃত করে মার্কিন কর্মকর্তারা এ খবর জানান ।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান ইউক্রেন সঙ্কট সমাধানে মধ্যস্থের ভূমিকা পালনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলছেন তুরস্ক, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান উত্তেজনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব তুরস্ক সমর্থন করে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের নিরাপত্তা সম্পর্কে উৎকণ্ঠা প্রকাশের মাধ্যমে মূলত দেশটিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনের সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক উপায় খুঁজছে। তবে একইসঙ্গে তিনি রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেন, যা কিছুই ঘটুক আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
ইউক্রেন সীমান্তের রাশিয়ার সৈন্য মোতায়েনের জেরে সৃষ্ট উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে সোমবার।
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালেও দেশটিতে সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে রোববার জানিয়েছেন ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টোলটেনবার্গ। উল্লেখ্য, ইউক্রেন ন্যাটোভুক্ত দেশ নয়।
ইউক্রেনের নেতা এবং তার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহকারীরা রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্দেশ্যকে তাদের অনেক পশ্চিমা প্রতিপক্ষের থেকে ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করছেন। আট বছর ধরে রাশিয়ার ক্রমাগত উস্কানি এবং পূর্ব ইউক্রেনে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের পরে তারা কি আরো বেশি নির্বিকার হয়ে পড়ছে নাকি তাদের রাশিয়ান প্রতিপক্ষকে ঠিক মতো বুঝতে পারছে না?