জো বাইডেনের ইউক্রেন সফরের পরিকল্পনা নেই : হোয়াইট হাউস
ইউক্রেন
সীমান্তে উত্তেজনা এবং যুদ্ধের আশংকার মধ্যে ইউক্রেনের সরকার রাশিয়া এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় নিরাপত্তা গোষ্ঠীর মধ্যে জরুরী বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে।
যুদ্ধের আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হয়েছে। একটি জার্মান সংবাদমাধ্যম গোয়েন্দাসূত্র উদ্ধৃত করে বলেছে, বুধবারই রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে জার্মান সরকারকে রিপোর্ট দিয়েছেন গোয়েন্দারা।
সীমন্তের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিরসন লক্ষ্যে ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা গোষ্ঠী এবং রাশিয়ার সাথে বৈঠক করতে চায় ইউক্রেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, সীমান্তে সৈন্য বাড়ানোর পর আমরা রাশিয়াকে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করেছিলাম।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য মস্কো একটি ‘অজুহাত’ খুঁজছে। এই অবস্থায় উত্তেজনা কমানোর জন্য কূটনৈতিক পথ অনুসরণ করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি।
দক্ষিণ থেকে রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া ভূখণ্ড, পূর্ব দিকে রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের সীমান্ত ও উত্তরে রুশ মিত্র বেলারুশে সৈন্য সমাবেশ করেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।
যে কোনও মুহূর্তে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে বসতে পারে- পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলো থেকে এমন হুঁশিয়ারি পেয়ে এক ডজনেরও বেশি দেশ তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে হামলার বিষয়ে নাটকীয় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। ওয়াশিংটন বলছে, বিমান থেকে বোমা ছুঁড়ে বেসামরিক নাগরিকদের দিয়ে রাশিয়া যে কোন দিন ইউক্রেনে হামলা শুরু করতে পারে। দেশটি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে, আমেরিকার সব নাগরিককে দ্রুত ইউক্রেন ছেড়ে আসতে বললেন বাইডেন।বাইডেন জানিয়েছেন, মস্কো যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে, তাহলে আমেরিকার নাগরিকদের উদ্ধার করতে তিনি সেনা পাঠাতে পারবেন না।
ইউক্রেনে একটি বিস্তৃত যুদ্ধের চিন্তা করাই মারাত্মক জটিল বিষয়ক, কারণ রাশিয়া দেশটিতে অভিযান চালালে বহু মানুষ যেমন মারা যেতে পারে তেমনি পালাতে হতে পারে আরো অনেককে।