রাশিয়া মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা ইউরোপের তিনটি দেশের আরো ৩১ কূটনীতিককে বহিস্কার করেছে। ইউক্রেনে তাদের সামরিক অভিযান চালানোকে কেন্দ্র ইউরোপের দেশগুলোর গৃহীত ব্যবস্থার পাল্টা জবাবে মস্কো এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করলো।
ইউরোপ
ব্রাসেলসের ‘অবন্ধুসুলভ আচরণের’ জবাব দিতে ১৮ জন ইউরোপীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করবে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এসব ইউরোপীয় কূটনীতিককে শিগগিরই মস্কো ত্যাগ করতে হবে
ইউরোপের মানবাধিকার সংস্থা কাউন্সিল অব ইউরোপ থেকে রাশিয়া বের হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানান। খবর বিবিসির।
ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে আমেরিকার আচরণ, করোনা সংকট এবং বর্তমানে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা বহির্বিশ্বের উপর ইউরোপের নির্ভরতা স্পষ্ট করে দিয়েছে৷ প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে জ্বালানি, কাঁচামালের জোগান অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় বার বার সংকট দেখা দিচ্ছে৷
রাশিয়া বলেছে, পশ্চিমা দেশগুলো যদি রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তাহলে তারা ইউরোপে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।
রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক হামলা অব্যাহত রাখলে ৫০ লাখ ইউক্রেনীয় দেশ ছাড়তে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷
যুদ্ধের মধ্যেও ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। রোববার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানী সংস্থা গাজপ্রমের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।
ইইউ তার ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত এরকম কোন পদক্ষেপ নিলো।ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ঘোষণা করেছে যে তারা ইউক্রেনে অস্ত্রের চালান পাঠানো শুরু করতে চাইছে।ইইউ তার ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত এরকম কোন পদক্ষেপ নিলো।
আমেরিকার অত্যাধুনিক এফ-৩৫ জঙ্গিবিমানের একটি কন্টিনজেন্ট পূর্ব ইউরোপে পৌঁছেছে। যখন ইউক্রেনের চলমান সংকটকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন এবং মস্কোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে তখন এই জঙ্গিবিমান পাঠানো খবর এলো।
ইউরোপীয় ই্উনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউক্রেনে হওয়া রুশ আগ্রাসন হলো ইউরোপের সবচেয়ে অন্ধকার সময়।