দেখতে দেখতে পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দুই দশক বিদায় নিলো। মাহে রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত ফজিলতপূর্ণ এতে কোনো সন্দেহ নেই।
ইবাদত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন আসুন, পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা যাবতীয় ভোগবিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছলতা ও সংঘাত পরিহার করি এবং জীবনের সর্বস্তরের পরিমিতিবোধ, ধৈয ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করি।
দিন ও রাত মহান আল্লাহর সৃষ্টির নিদর্শন। দুটিরই ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য রয়েছে। তবে এই দুটির মধ্যে রাতের তাৎপর্য অনেক বেশি।
বর্তমান এই করোনার মহামারীতে যারপরনাই আমরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। কেউ বাবা হারিয়েছেন, কেউ মাকে চিরদিনের মতো বিদায় দিয়েছেন, কেউ কলিজার টুকরো সন্তানকে কবরে রেখে এসেছেন। কেউ প্রিয়তম স্বামীহারা হয়ে অঝোরে কাঁদছেন।
আল্লাহ তায়ালা মানুষ এবং জীনকে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। ইবাদত বলতে আমরা অনেকেই মনে করি শুধু নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত এগুলোই ইবাদত। এ ছাড়া আমাদের জীবনের অন্যান্য বিষয় ইবাদত না।
মুফতি তাজুল ইসলাম
জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। মর্যাদা বোঝাতে মহান আল্লাহ এ দিনগুলোর কসম খেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শপথ প্রভাতের। শপথ দশ রাতের।’ (সূরা: ফাজর, আয়াতা: ১-২)
করোনাভাইরাস মহামারীতে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় জনসাধারণকে ইবাদত-উপাসনা নিজ নিজ ঘরে পালনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
রোজা রাখা বা সিয়ামের উদ্দেশ্য হলো, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নিজেদের কামনা-বাসনা নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরহেজগারি বা তাকওয়া বৃদ্ধি করা।