ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের সিনিয়র কমান্ডার মুহাম্মাদ আসর নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েল
গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে হস্তক্ষেপ না করার জন্য মার্কিন হুঁশিয়ারি মানবে না তেহরান। এ সময় সংঘাত থামাতে পশ্চিমাদের অনিচ্ছার সমালোচনা করেন তিনি।
ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তাও দিচ্ছে দেশটি।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজা শহরের আল-আহলি আরব হাসপাতালে শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে যে কমপক্ষে ৫০০ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে বেড়া অতিক্রম করে বিস্ফোরক রাখার চেষ্টা সময় তারা চার হিজবুল্লাহ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা শনিবার বলেছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলনের (হামাস) মধ্যে চলমান সংঘাত বিশ্ব অর্থনীতিতে ‘অনিশ্চয়তা সৃষ্টির আরও একটি উৎস হতে পারে’।
গাজা উপত্যকায় গত শনিবার থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এ পর্যন্ত জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার ১১ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্টের পাঁচ সদস্যও নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিন প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সংঘাতের জেরে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে ফ্লাইট স্থগিত করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃস্থানীয় আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স।
হামাস-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০০ জনে। আর গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৭০০ ছুঁইছুঁই।