বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান ই-কমার্স খাতে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা ও প্রতারণা ঠেকাতে একটি নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ই-কমার্স
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ই-কমার্সে প্রতারণার জন্য প্রাথমিকভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে। তবে সরকারও এই দায় এড়াতে পারে না।
কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বাজার মূল্য বা খরচের তুলনায় অনেক বেশি ডিসকাউন্ট দিয়ে পণ্য বিক্রির নামে গ্রাহকদের প্রতারিত করলে তার বিরুদ্ধে মামলা করবে প্রতিযোগিতা কমিশন।
ই-কমার্সের নামে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হওয়ায় গ্রাহকদের লোভ কমাতে জনস্বার্থে প্রচারণা চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ই-কমার্সের নামে প্রতারণা রোধে মানুষকে সচেতন করার কথাও বলেছেন আদালত।
গত কয়েক বছর ঘরে বসে অনলাইনে পণ্য কেনাকাটা বা ই-কমার্স ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর গোটা খাতটি এখন ভুগছে আস্থার সঙ্কটে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ তিনজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
ইভ্যালি-আলেশা মার্টসহ ১০ ই-কমার্সের সাথে ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ডের লেনদেন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ব্যাংক এশিয়া ও ঢাকা ব্যাংক।এর আগে ব্র্যাক ব্যাংকও ওই ১০ প্রতিষ্ঠানের সাথে লেনদেন বন্ধ করে দেয়।
ই-কমার্স ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করার কথা আজ (মঙ্গলবার) জানিয়েছে বাংলাদেশের পুলিশ।