ই-কমার্সে প্রতারণার জন্য প্রাথমিক দায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের : অর্থমন্ত্রী

ই-কমার্সে প্রতারণার জন্য প্রাথমিক দায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের : অর্থমন্ত্রী

ই-কমার্সে প্রতারণার জন্য প্রাথমিক দায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ই-কমার্সে প্রতারণার জন্য প্রাথমিকভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে। তবে সরকারও এই দায় এড়াতে পারে না।

বুধবার দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এসব প্রতিষ্ঠান করার সময় কারো না কারো ছাড়পত্র নিয়েই করা হচ্ছে। এখানে ছাড়পত্র দিচ্ছে কমার্স মিনিস্ট্রি। তাই তাদের প্রাইমারিলি দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের সাথে অন্য যাদের সম্পৃক্ততা আছে, তাদের সবারই আমি মনে করি দায়িত্ব নেয়া উচিত।’

ই-কমার্সে প্রতারণা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলব না। মূলত কাজটি এখন আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা আছে, তারা এসব বিষয় নিয়ে আসে আমাদের এখানে। আইটির বিষয় আছে, সেখানে আইসিটি মিনিস্ট্রি আছে, তারাও দায়িত্ব নেবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো মাঝে মধ্যে তৈরি করে মানুষকে ঠকায়। এটা কিন্তু চলে আসছে। আগে যেভাবে হতো, সেটি এখন ভিন্ন আঙ্গিকে আসছে। আগে ম্যানুয়ালি করতো, এখন ইলেক্ট্রিক্যালি করছে। ডিজিটালাইজড ওয়েতে করা হচ্ছে। মানুষ বিশ্বাস করে এখন, কতদিকে নিয়ন্ত্রণ করবে? সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে অবশ্যই। সরকারই দায়িত্ব নেবে। সরকার দায়িত্ব এড়াবে কেন?’

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য ১২টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাবিভাগের ৪টি, বিদ্যুৎ বিভাগের ৩টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১টি এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিল।