করোনাভাইরাসের টিকার জন্য বাংলাদেশের অধীর অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। ইতোমধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে ২০ লাখ ডোজ টিকা।
টিকা
আগামী ২৭শে জানুয়ারি , বুধবার থেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুল মান্নান।
মডার্নার টিকার তীব্র এলার্জিক প্রতিক্রিয়া খুব একটা দেখা যায়নি। মার্কিন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ শুক্রবার এ কথা জানিয়ে বলেছে, ৪০ লাখ প্রথম ডোজ প্রয়োগের পর মাত্র ১০ জনের শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে গুজব ছড়ানো ও রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ভারতে কোভিড-১৯ এর টিকা উৎপাদনকারী সেরাম ইনস্টিটিউটের নির্মাণাধীন এক ভবনে আগুনে লেগেছে। তবে বৃহস্পতিবারের এই অগ্নিকাণ্ডে কোভিশিল্ড টিকা উৎপাদনের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা টিকা সংগ্রহ ও প্রদানের কাজ স্বচ্ছতা ও সফলতার সাথে শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঢাকায় পৌঁছেছে ভারত সরকারের উপহার দেওয়া করোনাভাইরাসের ২০ লাখ ডোজ টিকা। আজ বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৬৭টি বক্সে টিকাবাহী এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ ফ্লাইট অবতরণ করে।
ঢাকার চারটি হাসপাতালে প্রথম দফায় করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হবে। টিকার কার্যক্রম শুরু হবে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে। বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আবদুল মান্নান একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচাতে ১৬ তারিখ থেকে গণভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ শুরু হয়েছে ভারতে। এর একদম প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, পুলিশসহ দেশের পরিষেবার প্রথম সারিতে থাকা মানুষজনকে ভ্যাকসিন দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
ভিভিআইপিরা নয়, যাদের সবচেয়ে আগে টিকা প্রয়োজন তাদেরকেই আগে দেয়া হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা প্রয়োগ করে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথমে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে।