রাজশাহীতে জেঁকে বসেছে শীত। গেল দুইদিন থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এখন পর্যন্ত চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
তাপমাত্রা
তাপমাত্রা মাইনাস ৩০ ডিগ্রিরও নিচে, চারদিকে বরফের পুরু স্তূপ।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গার জনপদ। তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে অস্বাভাবিকভাবে। মাঘের আগেই হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু এখানকার জনজীবন। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারপাশ। উত্তর থেকে বয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাস দুর্ভোগ বাড়িয়েছে কয়েক গুণ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না এ জেলায়।
ঠান্ডা হাওয়া আর কুয়াশায় হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে নওগাঁয়। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে বদলগাছি আবহাওয়া অফিস। যা এই মৌসুমের জেলায় দ্বিতীয় সর্বোনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড।
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে জেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান এ তথ্য জানান।
কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন লালমনিরহাটের গ্রাম-গঞ্জ। বিশেষ করে নদীর চরাঞ্চল এবং তীরবর্তী লোকালয় ধুকছে ঠান্ডার প্রকোপে। কুয়াশার চাদরে যেন ঢাকা পড়েছে পুরো জনপদ।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। কুয়াশার কারণে সারা দেশে দিনে ঠাণ্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুয়াশার ঘনত্ব কমছে। কুয়াশা কমলে সাধারণত শীতের তীব্রতা বাড়ে। আজ সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। সব মিলিয়ে কিছুদিনের জন্য শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আজকের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলে যাচ্ছে।
কুয়াশা ও শীতকে হার মানাতে বইছে শীতল বাতাস। সব মিলিয়ে ঘন কুয়াশা তীব্র শীতের পাশাপাশি শীতল বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের জনজীবন।