দেশের উত্তর, উত্তর-মধ্যাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ১১ জেলার চলমান বন্যা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া খোয়াই ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি কমতে থাকার ধারাও আগামী অব্যাহত থাকতে পারে
বন্যা
পাবনা প্রতিনিধি:পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে পাবনা সদর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী পাবনার বেড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় টেনিসি অঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ বন্যায় ২১ জন মারা গেছেন। নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন। স্থানীয় কর্মকর্তারা এ খবর জানিয়ে একে প্রাথমিক সংখ্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
উজানে ভারি বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের চলমান বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। দেশের পাঁচটি নদীর পানি আটটি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তুরস্কে দাবানলের পর আবারও নতুন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কৃষ্ণ সাগরের উপকূলীয় কয়েকটি শহর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে বিধ্বস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি-দোকানপাটসহ নানা স্থাপনা। এ নিয়ে চলতি মাসে দুটি বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়লো তুরস্ক।
ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আগামী দুদিনের (৪৮ ঘণ্টা) মধ্যে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পরিকল্পিত ভাবে বন্যার সৃষ্টি করছে কেন্দ্রীয় সরকার- এমনই অভিযোগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর। মঙ্গলবার বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ অভিযোগ তুলেন।
সুদানে প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ব্যাপক বন্যায় কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজধানী খার্তুমের বিভিন্ন রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। রোববার এএফপি’র সংবাদদাতা একথা জানান
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা বন্যা-বিধ্বস্ত। পশ্চিমে বাঁকুড়া থেকে পূর্বে হাওড়া-- সর্বত্র বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদী। ভেসে গেছে অসংখ্য গ্রাম। বাড়ি ভেঙে, অথবা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতির এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। পাহাড়ি ঢলে আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।শুক্রবার সকাল পর্যন্ত খবর নিয়ে জানা গেছে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এখনো পানিবনন্দি রয়েছে অন্তত চার লাখ মানুষ।