ভারতের উত্তরখণ্ড রাজ্যে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৩৪ জনের প্রাণহানী হয়েছে। বন্যার কারণে ভূমিধসে তাদের মৃত্যু হয়। রাজ্যটির বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার এনডিটিভি এ খবর জানায়।
বন্যা
বন্যা বিধ্বস্ত ভারতের কেরালায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮। এখনো নিখোঁজ বহু। কেরালাবাসীকে উদ্ধারের কাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী এবং সেনাও।
ফিলিপাইনে প্রবল বৃষ্টি, ঝড় ও ভুমিধসের ঘটনায় অন্তত নয় জন মারা গেছে এবং আরো ১১ জন নিখোঁজ রয়েছে।ফিলিপাইন জুড়ে প্রবল বৃষ্টিতে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে এবং ভূমিধস শুরু হয়েছে।কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার এ কথা জানায়।
ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় ভারতের মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্রের কয়েকটি শহরে গেল দুইদিনে অন্তত ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। এছাড়া দিনভর প্রবল বৃষ্টিতে ফের ডুবেছে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা। এতে সাধারণ মানুষ মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েন।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ১৭ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে। এর ফলে দেশের দুই কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়বে।
বন্যার পাািন এখন বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রাহিত হচ্ছে। এবারের বন্যায় পানি নেমে যাবার সাথে কৃষকের ফসলী জমির ক্ষতচিহ্ন বেরিয়ে পড়েছে। রোপা আমন, বীজতলা, মাসকলাই, শাকসবজির ক্ষেতে বিনষ্ট হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদ-নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বন্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
দেশের ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর প্রভাবে বন্যায় তলিয়ে গেছে গেছে ১৫ জেলার নিম্নাঞ্চল, যার মধ্যে ১১ জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দেশের ১১টি জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটেছে।উজানে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকায় বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
দেশের উত্তর, উত্তর-মধ্যাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ১১ জেলার চলমান বন্যা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া খোয়াই ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি কমতে থাকার ধারাও আগামী অব্যাহত থাকতে পারে