উত্তর ভারতে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে।
বৃষ্টিপাত
রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় গত মঙ্গলবার থেকে চলছে টানা বৃষ্টি। প্রতিদিনই সকাল শুরু হয় বৃষ্টি। বিকেল গড়াতেই বাড়তে থাকে বৃষ্টির পরিমাণ। টানা বৃষ্টির কারণে মানুষের ঈদের ছুটি কাটছে ঘরবন্দি অবস্থায়।
উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নেমে আসতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এরইমধ্যে হাওরগুলো পানিতে টইটুম্বুর হয়ে গেছে। আশংকা বাড়ছে এমন বৃষ্টি আরো দিন দুয়েক চলতে থাকলে ডুবে যাবে নিম্নাঞ্চলসহ অনেক এলাকা।
ঈদুল আজহার আগের দিন থেকে চলমান বৃষ্টিপাত দেশের সব বিভাগে আরও দুই দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাজধানীতে ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকেল ৪টার পর ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (১ জুলাই) পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাত চলমান থাকবে এবং রোববার থেকে বৃষ্টি কমে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গোপালগঞ্জে ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত বলে নিশ্চিত করেছে গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিস। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এছাড়াও বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দুই দিন। আগামী তিন দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সেই হিসেবে, ঈদের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে আগামী দুই দিনে দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতিতে সামান্য পরিবর্তন হবে। বুধবার সন্ধ্যায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস।
দেশের উত্তরাঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। মোটামুটি সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এ সময়ে তিন বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং পাঁচ বিভাগের অনেক জায়গায় বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলেও রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি জানিয়েছে।
দেশের ১০টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।