বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টিসহ এবারের মৌসুমের সবচেয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী হতে পারে আজ (মঙ্গলবার, ২৩ মে)। এছাড়া দেশের প্রায় ৬৪টি জেলার ওপর দিয়েই প্রবল বেগে এ ঝড় অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
বৈশাখ
৫ বিভাগে শক্তিশালী কালবৈশাখীর পূর্বাভাস।সোমবার সকালে ফেসবুকে এক পোস্টে এই তথ্য দিয়েছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
চুয়াডাঙ্গায় কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে ছকিনা বেগম (৬৩) নামে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের জয়রামপুর তারিনিপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কালবৈশাখী ঝড়ে পদ্মা সেতু মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। তবে এতে টোল আদায় বা সেতুতে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটেনি।
রংপুরের বেশ কয়েকটি উপজেলায় তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। এতে লন্ডভন্ড হয়েছে পীরগাছা ও কাউনিয়ার অন্তত চার-পাঁচটি গ্রাম। এছাড়া ঝোড়ো বাতাসে আম, ভুট্টা, গম, ধানসহ উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের স্থায়িত্ব কম হলেও কোথাও কোথাও বাতাসের বেগে ঘরবাড়ির ক্ষতির পাশাপাশি উড়ে গেছে স্থাপনা।
সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতের কবলে পড়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু রাজশাহী বিভাগেই প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন। শনিবার পৃথক সময়ে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেশী ভারতেও আঘাত হেনেছে কালবৈশাখী ঝড়। দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গজুড়ে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। এদিন দুপুরের পর থেকে আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামে। আর তাতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি শুরু হয়।
গত শনিবার থেকে মেঘ আর বৃষ্টির দাপটে সারাদেশ থেকে দাবদাহ অনেকটা বিদায় নিয়েছে। এখন শুরু হচ্ছে কালবৈশাখীর দাপট। এমন আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্ত। ঝড় বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দেশের সব নদীবন্দরে তোলা হয়েছে সতর্কতা সংকেত।
মৌলভীবাজারে বৃষ্টির সঙ্গে বয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ে গাছ পড়ে দুজন মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন। তাদের একজন রনি আহমেদকে (২৫) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বছর ১৪৩০। সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে রমনা বটমূলে ছায়ানটের শিল্পীদের এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় নতুন বছরকে। সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে অনুষ্ঠান শেষ হয় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে।