নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত সাতজন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় জমে গিয়ে মারা যান তারা।
ভূমধ্যসাগর
গত রোববারই জার্মানির এনজিও সি-ওয়াচ ভূমধ্যসাগর থেকে ৯৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। সবমিলিয়ে এক সপ্তাহে ৪৪৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে তারা।
প্রায় ছয় ঘণ্টার এক অভিযানে ভূমধ্যসাগর থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী কাঠের নৌকা থেকে বাংলাদেশীসহ ৩৯৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে কমপক্ষে ১৭ বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে। ডুবে যাওয়া ওই নৌকা থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের আরো কমপক্ষে ৩৮০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে।
ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ৪৯ জন বাংলাদেশী অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১৬ থেকে ৫০ বছর বয়সের এসব অবৈধ অভিবাসী লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাত্রা করেছিলেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তাদের উদ্ধার করা হয়।
ভূমধ্যসাগর থেকে বাংলাদেশীসহ ১৭৮ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়া নৌবাহিনী। সেই সাথে তাদের সাথে থাকা দুটি লাশও উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার উদ্ধার হওয়া এসব অভিবাসী লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছার চেষ্টা করছিল বলে জানিয়েছেন তিউনিসিয়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহামেদ জেকরি।
ভূমধ্যসাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় ২৬৭ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড। তাদের মধ্যে ২৬৪ জন বাংলাদেশী। লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে অবৈধপথে ইউরোপে যাওয়ার সময় বৃহস্পতিবার তাদেরকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।