রোজা

রমজানে কী খাব? কী খাব না? প্রথমেই এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হওয়ায় আমাকে অনেক হৃদরোগীদের খাদ্যের উপদেশ দিয়ে থাকতে হয় এবং এ সব রোগীর মধ্যে অনেকে আবার উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত থাকেন। তাই এসব কিছু বিবেচনা করে

প্রত্যেক ঈমানদারের কর্তব্য হলো প্রথমত নিজের জীবনকে কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে পরিচালিত করা। কিন্তু পরকালে মুক্তির জন্য এটাই যথেষ্ট নয়।

রোজা ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। একজন রোজাদারকে রোজার মাসলা-মাসায়েল জানা অপরিহার্য। কেননা, মাসলা-মাসায়েল জানা না থাকলে রোজা যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব হবে না।

রমজান মাসে যদি কোনো রোগীকে রক্ত দেয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে তাকে রক্ত দেয়া যাবে। এতে রোজা ভাঙবে না এবং কোনো ক্ষতিও হবে না। 

পবিত্র রমজানের রোজা মুসলিম উম্মাহর ওপর ফরজ বিধান। রোজা রাখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি রোজাকে সুরক্ষিত রাখাও অপরিহার্য। রোজা রাখার পর সতর্ক থাকতে হয়, যেন এমন কিছু না হয়, যার কারণে রোজা ভেঙে যায়।

পবিত্র রমজান মাস অত্যন্ত মোবারক মাস। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে ‘তোমাদের মাঝে রমজান উপস্থিত হয়েছে, যা একটি বরকতময় মাস। মহান আল্লাহ তোমাদের ওপর এই মাসের রোজা ফরজ করেছেন। 

রোজা রেখে করোনাসহ যেকোনো ধরনের রোগের টিকা নিতে বাধা নেই। বিশ্বের জুমহুর তথা অধিকাংশ আলেম ও ইসলামী স্কলার ‘রোজা অবস্থায় টিকা নিতে সমস্যা নেই’ এই কথার ওপর একমত হয়েছেন। 

প্রশ্ন : রোজা রেখে আতর,,সুগন্ধি বা পারফিউম ব্যাবহার করা যাবে ‍কি?

রোজায় দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। ফলে এমনিতেই মানুষ পানিশূণ্যতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হতে পারেন। তার ওপর এ বছর চৈত্র মাসের দীর্ঘ ও উত্তপ্ত দিনের বেলা রোজা রাখতে গিয়ে পনিশূন্যতায় ভোগার আশঙ্কা বেশি থাকবে।

সৌদি আরবের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ২ এপ্রিল শনিবার থেকে দেশটিতে রোজা শুরু হচ্ছে বলে সৌদি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে খালিজ টাইমস শুক্রবার প্রতিবেদনে জানিয়েছে।