১২৮ ঘণ্টা পর তুরস্কে ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার করা হলো এক শিশুকে। দু’মাস বয়সী ওই শিশু টানা ১২৮ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচেই চাপা পড়ে ছিল।
সিরিয়া
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে এ সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ অথবা তার চেয়ে বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে জাতিসঙ্ঘ।
তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার দাঁড়িয়েছে। শনিবার রাতে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ওই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ২৯ হাজার ৭৮৯ জন। এখনো অনেক লোক চাপা পড়ে আছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
তুরস্ক ও সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শনিবার রাতে আলজাজিরা জানায়, ভূমিকম্পে নিশ্চিত মৃত্যু ২৫ হাজার ৪০১।
উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করছে এমন একটি বেসামরিক ত্রাণ সংস্থা হোয়াইট হেলমেট-এর প্রধান জাতিসংঘের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, ভূমিকম্পের পর জাতিসংঘের পদক্ষেপ ছিল খুবই বাজে।
তুরস্ক ও সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২৪ হাজারে ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে কর্মকর্তারা জানান, ভূমিকম্পে নিশ্চিত মৃত্যু ২৪ হাজার ৩৫২। এছাড়া আহত হয়েছে ৭৯ হাজার ৪৮৭ জন। ফলে এটি এই অঞ্চলে ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিল অন্তত ১৭ হাজার লোক।
৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালি ভূমিকম্পের ১০০ ঘন্টা পার হলেও তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ২২ হাজার ৩৬৮ জন। তবে জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দিয়েছে এই ধ্বংসযজ্ঞের পুরো চিত্র এখনো পরিষ্কার না।
তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দুই দেশে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৫১ জনে। আরো অসংখ্য লোক এখনো ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে থাকায় সংখ্যাটি আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চাপা পড়া লোকদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা এখন বেশ ক্ষীণ বলে মনে করা হচ্ছে।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
তুরস্কে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান।