সংঘাতপূর্ণ সুদান থেকে আরও ১৭৬ বাংলাদেশি জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। বুধবার রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
সুদান
সংঘাতে জর্জরিত সুদান থেকে বিশেষ ফ্লাইটে আরও ৫৫৫ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
সুদান থেকে ফেরা ১৩৬ বাংলাদেশীকে মন্ত্রণালয় থেকে কিছু আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
সংঘাতপূর্ণ সুদান থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে ঢাকায় পৌঁছেছেন ১৩৫ বাংলাদেশি।সোমবার (৮ মে) সকালে তাদের বহনকারী বিমানটি ঢাকার হযরত বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে সৌদি সামরিক বাহিনীর একটি উড়োজাহাজে সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে পৌঁছেছে ৭০ বাংলাদেশী।সেখানে বাংলাদেশীদের স্বাগত জানান সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এ সময় জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হকও উপস্থিত ছিলেন।
সুদানে বিবদমান দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা সমঝোতা আলোচনা করতে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। শনিবারই সুদান সেনাবাহিনী ও দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে সমঝোতা আলোচনা পূর্বক বৈঠক হওয়ার কথা।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, সুদানের রাজধানী খার্তুমে ত্রাণ-সহায়তা পৌঁছে দিতে তারা সংগ্রাম করছে। আর অনেক এলাকায় তারা তীব্র সংঘর্ষ দেখছে এবং একাধিক ব্যর্থ অস্ত্রবিরতি প্রত্যক্ষ করেছে।
সঙ্কটাপন্ন সুদান থেকে এ পর্যন্ত ৬৭৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘যাদের পাসপোর্ট নেই, তাদের ট্রাভেল পারমিট সরবরাহ করা হয়েছে।’
সুদানে অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি এবং শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। সুদান পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) এক জরুরি সভায় সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এবং সুদান র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রতি বাংলাদেশ এ আহ্বান জানায়।
সুদান থেকে প্রত্যাবর্তনকারী বাংলাদেশীদের সৌদি আরবের বেঁধে দেয়া ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই দেশে ফেরত পাঠানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী সৌদি কর্তৃপক্ষকে প্রাথমিক নিশ্চয়তা প্রদান করেন।