সুদানের দারফুর অঞ্চলে আরব ও অনারব গ্রুপগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষে কয়েক ডজন বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়াসহ হাজার হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সুদান
সুদানে একটি সোনার খনি ধসে অন্তত ১৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২০ শ্রমিক।
দক্ষিণ সুদানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ জংলেইয়ে জাতিগত সংঘাতে অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর জংলেইয়ের গুমুরুক ও লিকুয়াঙ্গোলে জেলায় নুয়ের জাতিগোষ্ঠী, অপর নৃগোষ্ঠী মুরলে সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালালে এই সংঘাতের সৃষ্টি হয়।
সুদানে জাতিগত সংঘাতে কমপক্ষে ২২০ জন নিহত হয়েছে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরের মধ্যে এটি ভয়াবহতম জাতিগত সংঘাত।
উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় ব্লু নীল রাজ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের এই রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ৮৬ জন।
সুদানে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। দেশটিতে ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মুষলধারে বৃষ্টিপাত হওয়ায় কয়েক লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কর্তৃপক্ষ দেশটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৬ প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
সুদানে প্রবল বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এসইউএনএ এ খবর জানিয়েছে।
সুদানের ইথিওপিয়া সীমান্ত সংলগ্ন ব্লু নাইল প্রদেশে দুটি উপজাতিয় লোকদের মধ্যে সংঘর্ষে শুক্রবার ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় অধিবাসী ও কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা এএফপি’কে এ কথা জানিয়েছেন।
সুদানের দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলীয় ক্রেইনিক শহরে প্রতিদ্বন্দ্বী গোত্রের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৬৮ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ৯৮ জন আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে দাতা সংস্থাগুলো।
সুদানের প্রত্যন্ত দারফুর অঞ্চলে সর্বশেষ সহিংসতায় অন্তত ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছে। কর্মকর্তারা শুক্রবার এ খবর জানান।
চলতি সপ্তাহে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপগুলোর মধ্যে সহিংসতায় বেশকিছু সংখ্যক লোক নিহত হয়।