বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পর এবার যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেতু নির্মিত হলে এটি হবে দেশের বৃহত্তম রেল সেতু।
সেতু
দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু কাজ। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সাড়ে ১২ টার দিকে ১০ ও ১১ নম্বর খুঁটির উপরে বসল ৩৯তম স্প্যান। ফলে সেতুর মূল অবকাঠামো এখন ৫ হাজার ৮৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
পদ্মা সেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বাকি আর মাত্র তিনটি। বাকি এই ৩টি স্প্যানের মধ্যে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) মাওয়া প্রান্তে সেতুতে বসানো হচ্ছে পারে ৩৯তম স্প্যান "টু-ডি। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া অংশে ১০ ও ১১ পিয়ারে বসানো হবে। এতে দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে সেতুর ৫হাজার ৮৫০মিটার।
পদ্মা সেতুর ৩৮তম স্প্যান বসানো হয়েছে।
মূল পদ্মা সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি শতকরা প্রায় ৯১ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩৭টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর ৫ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান।
আবহাওয়া অনুকুল ও কারিগারি কোন জটিলতা না হলে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ৯ এবং ১০ নম্বর পিলারের উপর ৩৭ নম্বর স্প্যান ২-সি বসতে পারে আজ বৃহস্পতিবার।এই স্প্যানটি বসানোর মধ্যে দিয়ে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হবে ৫ হাজার ৫৫০ মিটার অর্থাৎ সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার।
৩৬তম স্প্যানবসানো হয়েছে পদ্মা সেতুতে । আর এর মধ্য দিয়েই দৃশ্যমান হলো প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার সেতু। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে মাওয়া প্রান্তের ২ ও ৩ নম্বর খুঁটির ওপর ১-বি নামের ৩৬তম স্প্যানটি স্থাপনের কাজ শেষ হয়।
অনুকূল আবহাওয়া আর কারিগরি জটিলতা দেখা না দিলে আজ বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) বসানো হতে পারে পদ্মা সেতুর ৩৬তম স্প্যানটি। যদি কারিগরি কিংবা আবহাওয়া জটিলতা দেখা দেয় তাহলে শুক্রবার (৬ নভেম্বর) বসানো হবে স্প্যানটি ।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ৮ ও ৯ নম্বর খুটির ওপর ৩৫তম স্প্যান বসানো হবে আজ শনিবার (৩১ অক্টোবর)।
রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আগামী ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।