প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আবারো এই করোনাকালীন সময়ে সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এমন কি যারা টিকা নিয়েছেন তাদেরকেও তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।
স্বাস্থ্যবিধি
দেশে করোনার উদ্ধগতি ঠেকাতে টানা ১৯ দিন বন্ধ থাকার পর গত ১১ আগস্ট থেকে ৩৬ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন নিয়ে শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ও ২৪ জোড়া কমিউটার, লোকাল ও ডেমু ট্রেন চলাচল করবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এখন আমাদের স্বাস্থ্যবিধি, টিকা আর মাস্কেই ভরসা করতে হবে। তিনি বলেন, মানুষের জীবন ও জীবিকার তাগিদেই মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে টানা ১৯ দিন চলা বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট মধ্যারাত পর্যন্ত সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়। কঠোর লকডাউনে বন্ধ ছিল সরকারি-বেসরকারি সকল অফিস ও সকল প্রকার শিল্প কারখানা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল আজহার প্রাক্কালে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়লাভের দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
সোমবার সকাল থেকে তেমন ভিড় না থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে পাটুরিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে । চলবে সকল প্রকার গণপরিবহন লঞ্চ ও ট্রেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে (১৫ জুলাই) সারা দেশে চলবে ট্রেন। আর এ জন্য ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আজ থেকে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে অনলাইন ও অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যাবে টিকিট।
মহামারী করোনাভারাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হবে সর্বাত্মক লকডাউন।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বাস ও রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকায় দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গের মানুষও ব্যবহার করছেন নৌরুট। পাবনাসহ উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকামুখি ও ঢাকা থেকে উত্তরা লমুখি ফিরতি মানুষ আরিচা-নগরবাড়ি (কাজীরহাট) নৌপথ ব্যবহার করছেন।
করোনা সংক্রমণ রোধে ট্রেনসহ সকল ধরনের গণপরিবহন বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। দীর্ঘ বিরতির পর গত ২৪ মে থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।