ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল বাতাসে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। এরমধ্যে দেশের ৪৩ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। রাজধানীতে গত দুদিন ধরে তাপমাত্রা কমছেই।
হাওয়া
চলতি মাসের শুরু থেকেই ঘন কুয়াশা আর হাড় কাপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তবে গত কয়েক দিন কুয়াশার ঘনত্ব কমে আসার পাশাপাশি সূর্যের দেখা মেলায় শীতের তীব্রতা কম ছিল। এতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ফের দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর।
প্রবাদে আছে, মাঘের শীতে বাঘে কাঁপে। চলতি বছর প্রবাদের ফলাফল দেখতে পাচ্ছে দেশের মানুষ। তীব্র শীত আর ঘণ কুয়াশায় মাঘের শীত জাঁকিয়ে বসেছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী, রংপুর ও সিলেটে তাপমাত্রা আরেকটু কমতে পারে।
কুয়াশার কারণে আগামী তিনদিন সারাদেশে দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। ফলে ঘন কুয়াশার পাশাপাশি ঠান্ডা বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘন কুয়াশার কারণে আজ ভোর থেকেই উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও , নীলফমারীসহ পাশের জেলাগুলো ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে। ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতেও ঘনকুয়াশায় ছেয়ে গেছে। এদিন সকাল নয়টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি অনেক জায়গায়।
সারাদেশে আগামী পাঁচ দিনে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশের ১৭ জেলার উপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অস্থায়ী আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়াও সোমবারের মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়ছে সংস্থাটি।