ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে অতি ভারী বৃষ্টিতে পাঁচ জেলায় ভূমিধস হতে পারে। এছাড়া ১৫ ফুটের বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
জলোচ্ছ্বাস
প্রবল শক্তি নিয়ে উপকূলে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। রবিবার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে কক্সবাজারে। এরই মধ্যে উপকূলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে দেশের ১০ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব জেলায় পাঁচ থেকে আট ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ আঘাত করতে যাচ্ছে - এটি এখন মোটামুটি নিশ্চিত। এজন্য স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দুই নম্বর থেকে চার নম্বরে উন্নীত করা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের কারণে চার সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উপকূলীয় জেলায় জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
নিম্নচাপ স্থলভাগে উঠে এলেও কমেনি উপকূলে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা। তাই সমুদ্রবন্দরগুলোতে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে আজও তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখতে বলা হয়েছে।আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অত্যন্ত সক্রিয় এবং দেশের অন্যত্র তা সক্রিয় রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাত থেকেই সারাদেশে হালকা এবং ভারী বৃষ্টি বর্ষণ হয়েছে। এরই মাঝে শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়ার বিষেশ বিজ্ঞপ্তিতে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে।