বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার গল্পে ১৯৯৭ সালে নির্মিত হয় ‘টাইটানিক’ সিনেমা। যেখানে রোজ চরিত্রে অভিনয় করেন কেট উইন্সলেট এবং জ্যাক চরিত্রে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও।
টাইটানিক
রোজ তথা কেট উইন্সলেটের পরনে গোলাপী রঙের ওভারকোট। ফ্লোর পর্যন্ত দীর্ঘ এই ওলের ওভারকোটে কালো রঙের এমব্রয়ডারি করা। তার চোখে-মুখে লেগে আছে ভয়।
সাগরতলে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে ডুবোজাহাজ টাইটানের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, গভীর সমুদ্রে এমন একটি অভিযানে কী ধরনের ঝুঁকি রয়েছে।
সিনেমা নির্মাণের জন্য টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ক্যামেরন ৩৩ বার আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে গিয়েছিলেন।
ঠিক কী হয়েছিল মিনি সাবমেরিন তথা ডুবোযান টাইটানের, তা নিয়েই এখন কাটাছেঁড়া চলছে। সাথে বাড়ছে রহস্যও। আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের ১৬০০ ফুট দূরে পাওয়া গেছে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ।
আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে পর্যটকবাহী একটি সাবমেরিন নিখোঁজ হয়েছে। সাবমেরিনটি উদ্ধারে অভিযান হয়েছে।
ক্রোয়েশিয়ায় ‘লি’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন ‘টাইটানিক’ খ্যাত হলিউড অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল রাতে আটলান্টিক মহাসাগরে যখন টাইটানিক জাহাজটি ডুবে যায়, তখন কয়েক হাজার যাত্রীর জায়গা হয় সাগরের বরফ ঠাণ্ডা পানিতে। ডুবন্ত জাহাজটির লাইফবোটগুলোর মধ্যে একটি পরে ফিরে এসে খোঁজার চেষ্টা করেছিলো পানিতে কেউ তখনো বেঁচে আছে কি-না।
ডুবন্ত টাইটানিককে ঘিরে ৩৫ বছর ধরেই অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু কেউ কোনো মানুষের লাশ খুঁজে পায়নি বলে দাবি জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের মালিকানা থাকা কোম্পানির।