ধৈর্য

ধৈর্যের আরেক নাম সফলতা। ধৈর্যধারণকারীরা এমন সফল যে, স্বয়ং আল্লাহই তাদের সঙ্গী হয়ে যান। ইরশাদ হয়েছে, ‘মহান আল্লাহ ধৈর্যধারণকারীর সঙ্গে থাকেন’ (সুরা বাকারা: ১৫৩)। 

ধৈর্য সৌভাগ্যের প্রতীক। ধৈর্যহীন ব্যক্তি আলোহীন মশালের মতো। ধৈর্য জন্মগত কিংবা পৈতৃকসূত্রে পাওয়া কোনো কিছু নয়। কেউ যদি নিজেকে ধৈর্যশীল বান্দা হিসেবে গড়ে তুলতে চায় তাহলে তার জন্য সম্ভব।

শিক্ষা নারী ও পুরুষ- সব মুসলিমের জন্যই প্রয়োজনীয়- এমন মন্তব্য করে আফগানিস্তান পরিচালনাকারী অন্তর্বর্তী তালেবান সরকার আফগানিস্তানে নারীদের শিক্ষার বিষয়টি নিয়ে একটু 'ধৈর্য' ধরার আহ্বান জানিয়েছে।

মানবজীবনে সুখ ও দুঃখ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। কোরআনের ভাষ্যমতে মানুষকে নানাভাবে পরীক্ষা করা হয়। এমনকি যুগে যুগে মানুষকে সৎপথ প্রদর্শনকারী নবী-রাসুলরাও কঠিন বিপদের মুখোমুখি হয়েছেন। 

মহান আল্লাহ ঈমানদারদের সর্বাবস্থায় ধৈর্য ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন।

ধৈর্য মানবজীবনের মহৎ একটি গুণ যা মানবজীবনের সফলতার চাবিকাঠি। ধৈর্যের অনুশীলন ছাড়া ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত জীবনে সাফল্য অর্জন করা অসম্ভব। আনন্দ, ঝামেলা, দুঃখ ও উদ্বেগ ইত্যাদি সময়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রেখে আল্লাহ ও রাসূল সা: কর্তৃক নির্ধারিত সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকাই হলো ধৈর্য। 

সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার মিশ্রণে আমাদের জীবনতরী বয়ে চলে। পাওয়া -না পাওয়ার সমীকরণ চলতেই থাকে জীবনজুড়ে।

মানুষ কখনো একা বসবাস করতে পারে না। মানুষকে সমাজবদ্ধভাবে বাস করতে হয়। পরিবারিক ও সমাজিক জীবনে যে গুণটি সবচেয়ে বেশি জরুরি, তা হলো ধৈর্য। ধৈর্যহীনরা পরিবারে, সমাজে লজ্জিত হয়ে থাকে। 

একটি মহৎ গুণ আছে, যা অর্জন করা অনেক কঠিন; কিন্তু তার ফল অনেক মিষ্টি। বলা যায় সফলতার মূল চাবিগুলোর একটি সেটি। তা হলো ধৈর্য। ধৈর্য মুমিনের ভূষণ। উত্তম চরিত্রের বিশেষ গুণ। যাদের আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা আছে, তারা কোনো পরিস্থিতিতে বিচলিত হন না; বরং আল্লাহর ওপর ভরসা করে পরিস্থিতি বুঝে তা মোকাবেলা করেন।