দেশে দীর্ঘদিন ধরেই ডলার সংকট চলছে। সংকট ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিলেও কোনোটাই তেমন কাজে আসছে না। কয়েক মাস ধরে ২০ বিলিয়নে উঠানামা করছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
মূল্যস্ফীতি
রমজান মাসে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য লাগাম ছাড়িয়েছিল। এর প্রভাব পড়েছে মাস শেষের মূল্যস্ফীতিতে। মার্চ মাসে গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৭।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিয়ে, আজ বুধবার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ সরকারের নানান উদ্যোগের ফলে আগামী মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে মনে করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
দেশে চলমান মূল্যস্ফীতি এবং নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক।
আগস্টে খাদ্য খাতে রেকর্ড ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। মুরগি ও ডিমের কারণেই এই রেকর্ড মূল্যস্ফীতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, লেনদেন ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ও সরকারি তহবিলের অপচয় রোধের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রচেষ্টা ও সরকারি নীতির মাধ্যমে দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রতি আবারও গুরুত্ব আরোপ করে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন।
লাতিন দেশ আর্জেন্টিনায় আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতি ১০০ শতাংশেরও বেশি ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পণ্যের দাম বৃদ্ধির মাত্রা বেঁধে দিয়েছে আর্জেন্টিনা সরকার। চলতি বছরের জুলাইয়ে আর্জেন্টিনার বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১৩ শতাংশ।
বিশ্বের অনেক দেশেই যখন মূল্যস্ফীতি একটা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেসময় চীনে দেখা যাচ্ছে এক উল্টো অবস্থা। মুদ্রাস্ফীতির হার কমতে কমতে ঋণাত্মক পর্যায়ে চলে গেছে সেখানে।