এএসপির মৃত্যুতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

এএসপির মৃত্যুতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান কামাল বলেছেন, মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসার নামে নির্যাতন করে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুলের মৃত্যুর সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ বুধবার(১১নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত হাসপাতালে অভিযান চলমান, সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে অবহিত করা হবে।

উল্লেখ্য,গত(৯ নভেম্বর) মানসিক অসুস্থতার কারণে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিমকে স্বজনেরা রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যান। আর সেখানে কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে সেখান থেকে পাওয়া সিসি টিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায় যে, সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে টানাহেঁচড়া করে হাসপাতালটির একটি কক্ষে ঢোকানো হয়। এ সময় হাসপাতালের ছয়জন কর্মচারী মিলে তাঁকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। তখন নীল পোশাক পরা আরো দুজন কর্মচারী তাঁর পা চেপে ধরেন। আর মাথার দিকে থাকা দুজন কর্মচারীকে হাতের কনুই দিয়ে তাঁকে আঘাত করতে দেখা যায়। একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুলের হাত পেছনে বাঁধা ছিল। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এর চার মিনিট পর আনিসুলকে যখন উপুড় করা হয় তখনই তাঁর শরীর নিস্তেজ ছিল। একজন কর্মচারী তখন তাঁর মুখে পানি ছিটালেও আনিসুল নড়াচড়া করছিলেন না। তখন কর্মচারীরা কক্ষের মেঝে পরিষ্কার করেন। সাত মিনিট পর সাদা অ্যাপ্রন পরা এক নারী কক্ষটিতে প্রবেশ করেন। ১১ মিনিটের মাথায় কক্ষটির দরজা লাগিয়ে দেওয়া হয়। ১৩ মিনিটের মাথায় তাঁর বুকে পাম্প করেন সাদা অ্যাপ্রন পরা ওই নারী।

৩১তম বিসিএসের পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম সর্বশেষ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। তার স্ত্রী শারমিন সুলতানাও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই দম্পতির চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে।