করোনার নতুন ধরন আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে : বরিস জনসন

করোনার নতুন ধরন আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে : বরিস জনসন

বরিস জনসন

যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ২২ জানুয়ারি (শুক্রবার) এমন তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, করোনার নতুন ধরন শুধু সাধারণ করোনার চেয়ে অধিক সংক্রামকই নয়, এতে মৃত্যুহারও বেশি।

ভ্যাকসিন যখন মহামারীমুক্তির আশা জাগাতে শুরু করেছিল, তখনই করোনাভাইরাসের একটি পরিবর্তিত ধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার খবর দেয় যুক্তরাজ্যে। ১৪ ডিসেম্বর দেশটি নতুন এই স্ট্রেইনের সংক্রমণের তথ্য জানালে সারা বিশ্বে তাতে নতুন করে উদ্বেগ ছড়ায়। নতুন এই স্ট্রেইন আগের স্ট্রেইনের তুলনায় দ্রুত ও বেশি ছড়ায় বলে জানান বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের এই বদলে যাওয়া রূপটি প্রথম শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। নভেম্বরে দেখা গেল লন্ডনে যত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের এক চতুর্থাংশ ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের নতুন ওই ধরনটি দায়ী। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসে সেই অনুপাত দাঁড়ায় দুই তৃতীয়াংশে।

যুক্তরাজ্যের এই বদলে যাওয়া ধরনটি কতটা বেশি সংক্রামক, সেটা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও সেই হার ৭০ শতাংশের আশপাশে হতে পারে বলে ধারণ দিয়েছিন এক ব্রিটিশ গবেষক। এবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানালেন শুধু সংক্রামকই নয়, সাধারণ করোনার চেয়ে করোনার নতুন ধরন বেশি প্রাণঘাতী।

ডাউনিং স্ট্রিটে এক ব্রিফিংয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, ‘আজ আমাদের জানানো হয়েছে যে করোনাভাইরাসের নতুন রূপ কেবল বেশি সংক্রামকই নয়, এতে মৃত্যু হারও বেশি। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ড ও লন্ডনে করোনার যে নতুন রূপ ছড়িয়েছে গবেষণায় উঠে এসেছে এটি বেশি প্রাণঘাতীও। অর্থাৎ করোনার এই স্ট্রেইনে মৃত্যুহারও বেশি।’তবে জনসন এও জানিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আবিষ্কৃত টিকা সাধারণ ও নতুন করোনা উভয়ের ক্ষেত্রেই কার্যকর।

এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন করোনার নতুন রূপ যে বেশি প্রাণঘাতী সেটার পক্ষে খুব বেশি শক্তিশালী প্রমাণ না পেলেও তাদের প্রাথমিক গবেষণায় উঠে এসেছে যে এতে মৃত্যুহার সাধারণ করোনার চেয়ে বেশি।

নতুন করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর যুক্তরাজ্যে মৃত্যুহারও বেড়েছে। শুক্রবার সেখানে মারা গেছে ১ হাজার ৪০১ জন। তাতে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৫ হাজার ৯৮১। যা ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। গত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ১৬ শতাংশ বেড়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ।