সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার সেলিম প্রধান

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার সেলিম প্রধান

সেলিম প্রধান

রাজধানীর গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের মিছিলে অর্থ যোগানদাতা হিসেবে সেলিম প্রধানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ঢাকার ভারপ্রাপ্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত এই আদেশ দেন। 

এর আগে ২০ অক্টোবর মাদকের মামলায় জামিনের পর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আফরোজা শিউলি সেলিম প্রধানের জামিন মঞ্জুর করেন। 

পরে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক মামুন। আজ শুনানির জন্য আসামিকে আদালতে আনা হয়। পরে শুনানি শেষে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুদ্দোহা সুমন এ তথ্য জানান।

আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, মামলার সংক্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি প্রকাশ করে আসামিদের জবানবন্দি এবং স্থানীয়ভাবে তদন্তে জানা গেছে, সেলিম প্রধান এ ঘটনায় মিছিলে অংশগ্রহনকারীদের দেশের সার্বভৌমত্ত ও দেশের মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটানো ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি প্রয়াসে একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের অর্থযোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশ নেয়। আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়।

আরও বলা হয়, সেলিম প্রধান ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের অর্থ যোগান দিতো বলেন তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের প্রভাবশালী নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ আছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। সেলিম প্রধান সারা দেশের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের সুসংঘঠিত করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিল বলেও প্রাথমিক জানা গেছে। 

এ অবস্থায় মামলার তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে আসামিকে পরবর্তীতে পুলিশ হেফাজতে গ্রহণের জন্য আবেদন করা হতে পারে। এ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২২ এপ্রিল সকাল ৭টায় গুলশান-১ এর ১৩৬ নম্বর রোডে জব্বার টাওয়ারের পাশে রাস্তার ওপর আসামিসহ আরও অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জন ব্যক্তি ছাত্রলীগের অর্থদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতারা সরকার ও রাষ্ট্রের জননিরাপত্তা বিঘ্নের ষড়যন্ত্র এবং ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশে সমবেত হয়। ওই সময়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ব্যানারে ছাত্রলীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে গুলশানের বারিধারার নেক্সাস ক্যাফে প্লেস নামে একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করা হয়। সেখান থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি সীসা উদ্ধারের দাবি করে পুলিশ। পরদিন গুলশান থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।