খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, সিটি স্ক্যান করানো হচ্ছে : চিকিৎসক

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, সিটি স্ক্যান করানো হচ্ছে : চিকিৎসক

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, সিটি স্ক্যান করানো হচ্ছে : চিকিৎসক-

কোভিড-১৯ আক্রান্ত বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গতরাতে জ্বর এসেছে। বৃহস্পতিবার সকালেও তার শরীরে জ্বর ছিল। তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট ছিল।

তবে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের প্রধান অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী এ কথা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।

তিনি বলেছেন, বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাস আক্রান্ত হবার সপ্তম দিন আজ।

অধ্যাপক সিদ্দিকী বলেছেন, ‘সাধারণত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে বলা হয় যে প্রথম সপ্তাহের চেয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হয়, সুতরাং আমরা বলতে পারি যে উনি এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন।

কিন্তু উনার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। আমরা দেখেছি উনার চেস্ট ক্লিয়ার আছে। উনার ব্লাড রিপোর্টও ভালো।’

তিনি বলেছেন, সিটিস্ক্যান বাদে খালেদা জিয়ার প্রায় সব শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়েছে। এখন দ্রুতই তার সিটিস্ক্যান করানো হবে।

তিনি বলেন, ‘সিটিস্ক্যান করানোর পর রিপোর্ট দেখে যদি মনে হয় উনাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করালে ভালো হবে, তাহলে সেটাই করবো আমরা।

আর যদি রিপোর্ট দেখে মনে হয় কয়েকদিন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা ভালো হবে, তাহলে তাই করবো। মানে সিদ্ধান্তটা সিটিস্ক্যান রিপোর্ট দেখে নেয়া হবে।’

ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসাবে গত ১০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নমুনা দেন।

পরদিন ১১ এপ্রিল জানা যায় তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ। খবরটি দলের পক্ষ থেকে প্রথমে অস্বীকার করা হলেও, পরে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানান।

খালেদা জিয়া ছাড়াও তার বাসায় আরো আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এরপর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে ছয় মাসের জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয়।

পরে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে মুক্তির সময় আরো ছয় মাস বাড়ায় সরকার।

এ বছরের মার্চে তৃতীয়বারের মতো ছয় মাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়। -বিবিসি বাংলা