৫ বছর আগেই করোনাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছিল চীন!

৫ বছর আগেই করোনাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছিল চীন!

৫ বছর আগেই করোনাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছিল চীন!-

সার্স করোনাভাইরাসকে ‘জৈব’ অস্ত্ররূপে গড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা বছর পাঁচেক আগেই হয়েছিল। ফাঁস হওয়া একটি চীনা নথিতে মিলেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই নথিই হাতে আসে সাপ্তাহিক সংবাদ পত্রিকা ‘উইকেন্ড অস্ট্রেলিয়া’ এর। 

২০১৯ সালে ডিসেম্বর থেকেই ধীরে ধীরে বদলে যেতে শুরু করে গোটা বিশ্ব। করোনাভাইরাস অতিমারীর প্রকোপ ক্রমেই চীনের সীমানা অতিক্রম করে ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকা, এশিয়া ইউরোপসহ গোটা বিশ্বে। তখন থেকেই ওই সময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের জেরে আঙুল তুলেছিল চীনের দিকে। যদিও এর কোনো প্রমাণ মেলেনি যে চীন ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিয়েছে। তবে অতিমারীর পাঁচ বছর আগে যে ওই দেশের বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করেছিল, সেই খবর প্রকাশ্যে এলো।

জানা গেছে, ২০১৫ সালে চীনা বিজ্ঞানী এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সার্স করোনাভাইরাসকে একটি 'নতুন যুগের জেনেটিক হাতিয়ার' বলে আখ্যা দিয়েছিল। উইকেন্ড অস্ট্রেলিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সার্স করোনা ভাইরাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের চিন্তা ভাবনাও করা হয়েছিল।

উইকেন্ড অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সম্ভাব্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মূল হাতিয়ার হবে জৈব অস্ত্র। এই প্রতিবেদনে জানানো হয়, কীভাবে চীনা সামরিক বিজ্ঞানীরা অতিমারীর পাঁচ বছর আগেই করোনাকে জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছিল। এই বিষয়ে নিউজ অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটকে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর পিটার জেনিংস বলেন, 'আমার মনে হয় এই নথিটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটা প্রমাণ করছে যে চীনা বিজ্ঞানীরা এই সংক্রামক ভাইরাসকে সামরিক খাতে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছিল। এর থেকে এটা ফের একবার সামনে এলো যে হয়ত দুর্ঘটনাবশত চীন থেকেই এই ভাইরাসটি বাকি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।'

পাশাপাশি পিটার জেনিংসের দাবি, হয়ত এই কারণেই চীন করোনাভাইরাস নিয়ে কোনো তদন্ত চাইছিল না। কারণ তারা চাইত না যে বাকি বিশ্ব জানুক যে চীন বহু আগে থেকেই এই করোনাভাইরাসকে সামরিক খাতে ব্যবহার করার কথা ভাবা হচ্ছে। যদি সত্যি সত্যি চীনের 'ওয়েট মার্কেট' থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে থাকত, তাহলে সেটা খুঁজে বের করার বিষয়ে চীনের সাহায্য করা উচিত ছিল।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস