ঘুষ নেয়ার অভিযোগে কলকাতার মেয়র গ্রেপ্তার

ঘুষ নেয়ার অভিযোগে কলকাতার মেয়র গ্রেপ্তার

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম

নারদা ঘুষ মামলায় কলকাতার মেয়র এবং মমতা ব্যানার্জীর কেবিনেটের সিনিয়র মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।সোমবার সকালে নিজের বাসভবন থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাকে গ্রেপ্তার করে।

মি: হাকিমকে যখন আটক করা হয়, তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, নারদা ঘুষ মামলায় যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে রোববার রাতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় কলকাতার মেয়র মি. হাকিম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের আরও তিনজন রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে সম্মতি দেন বলে জানা গেছে। পরদিনই সোমবার সকালে ভারতের বিরাট বাহিনী নিয়ে সিবিআই কর্মকর্তারা মি. হাকিমের বাসভবনে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন।

নারদা মামলায় ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও বাকি যে তিনজনের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন, তারা হলেন পশ্চিমবঙ্গের সিনিয়র মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং মমতা ব্যানার্জীর মন্ত্রিসভার দুজন সাবেক সদস্য - মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়।

নারদা নামে একটি পোর্টাল ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে নেতার বিরুদ্ধে গোপন ক্যামেরায় অভিযান বা স্টিং অপারেশন (sting operation) চালিয়েছিল - যাতে গোপন ক্যামেরায় ওই নেতাদের মোটা অঙ্কের ঘুষ নিতে দেখা যায় ।

এই ঘটনায় দেশের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিবিআই পরে যে মামলা শুরু করে, সেটিই নারদা ঘুষ মামলা নামে পরিচিত।

২০১৮ সালে কলকাতার নতুন মেয়র হিসাবে ফিরহাদ হাকিমের নাম ঘোষণা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর তিনিই প্রথম কলকাতার মুসলিম মেয়র। ৪৭ এর আগে পাঁচজন মেয়র ছিলেন মুসলিম, যাদের মধ্যে ছিলেন শের-এ-বাংলা এ কে ফজলুল হক।

কিন্তু তারপর থেকে কখনও কোনও মুসলিম ধর্মাবলম্বী নেতা কলকাতার মেয়র পদে বসেননি।

ফিরহাদ হাকিম ৯০এর দশকের শেষদিকে প্রথমে কলকাতা কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হয়েছিলেন।সে সময় থেকেই মমতা ব্যানার্জীর সাথে তার ঘনিষ্ঠ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছাকাছি পাড়ার বাসিন্দা ফিরহাদ হাকিম। কর্পোরেশনের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছেন বিধানসভায়। ভোটে জিতে বিধায়ক হওয়ার পরে হয়েছেন মন্ত্রী।

সূত্র: বিবিসি