মহাকাশ মিশনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ছকছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন

মহাকাশ মিশনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ছকছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন

মহাকাশে ছায়াপথ নিয়ে হবে গবেষণা।

২০৩৫ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে যে মহাকাশে যে মিশনগুলো করা হবে তার থিম ঘোষণা করল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মহাকাশ সংস্থা (European Union’s space agency) ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থা (European Space Agency)। এই বছরগুলিতে যে মিশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে তা হল মঙ্গলের পরবর্তী গ্রহগুলির চাঁদে সম্ভাব্য ল্যান্ডার বা ড্রোন পাঠানো।
 
এছাড়া মহাকাশে ছায়াপথ এবং তার মধ্যে থাকা এক্সপ্লেনেটগুলি নিয়েও হবে গবেষণা। এগুলির প্রকৃতি এবং মহাবিশ্বের প্রাথমিক দিকের তত্ব আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য অনুসন্ধান চালানো হবে। এক্ষেত্রে অ্য়াটমিক ক্লক উন্নয়নের জন্য কোল্ড অ্যাটম ইন্টারফেরোমেট্রি, কমপ্যাক্ট অবজেক্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে গবেষণার জন্য এক্স-রে ইন্টারফেরোমেট্রি, দীর্ঘ দূরত্বের মিশনগুলিকে শক্তি দেওয়ার ক্ষমতা এবং গ্রহাণু থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত বরফের ক্রাইওজেনিক নমুনা সংরক্ষণের জন্য প্রযুক্তির জন্য দীর্ঘকালীন বিনিয়োগ করা হবে। এই থিমে তিনটি বড়সড় মিশন, মিডিয়াম ক্লাস মিশন ও দীর্ঘমেয়াদী প্রযুক্তি উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে। মহাকাশ বিজ্ঞানের জ্যোতির্বিজ্ঞান, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিদ্যার (মহাকাশের বস্তুগুলির মধ্যে দূরত্ব ও স্থান) উপর জোর দেওয়া হবে।

এই বিনিয়োগ এবং গবেষণার বিষয়গুলি শুধু মহাকাশ সংস্থাগুলির মধ্য়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নয়, গবেষণা এবং বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। মিশনের প্রস্তাবগুলির নিয়ে প্রত্যেকের মধ্যে কথোপকথন এবং মূল্যায়ন করার পরই মিশনগুলি নির্বাচন করা হবে। এই মিশনের থিমগুলির Cosmic Vision সায়েন্স প্রোগ্রামের আওতায় তৈরি করা হয়েছে। এটি মহাকাশ মিশনগুলিকে পরিকল্পনার মধ্যে ভাগ করে। এই মিশনের পরিকল্পনার নাম দেওয়া ভয়েজ ২০৫০ (Voyage 2050) যা খুব শীঘ্রই শুরু হবে।

ইতিমধ্য়েই মহাকাশ গবেষণায় নাসা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। মঙ্গলে নেমেছে রোভার পারসেভেব়্যান্স। চিনের পাঠানো রোভারও মঙ্গলের মাটিতে নেমেছে। এবার তো মহাকাশে প্রাণী পাঠানোর চেষ্টা করছে নাসা। এবার তার প্রকাশ্যে এল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নগুলির মহাকাশ সংক্রান্ত পরিকল্পনা। -কোলকাতা২৪