শেখ হাসিনাকে মোদি : মানবজাতি শিগগিরই মহামারী কাটিয়ে উঠবে

শেখ হাসিনাকে মোদি : মানবজাতি শিগগিরই মহামারী কাটিয়ে উঠবে

শেখ হাসিনাকে মোদি : মানবজাতি শিগগিরই মহামারী কাটিয়ে উঠবে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, মানবজাতি খুব শিগগিরই এই মহামারী কাটিয়ে উঠবে। যোগের একটি সহজাত শক্তি রয়েছে মানুষকে যুক্ত করার। যোগব্যায়াম সম্প্রদায়, রোগ প্রতিরোধ এবং ঐক্য এই তিনের জন্যই উপকারী।

সোমবার (২১ জুন) আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া এক চিঠিতে আশাবাদ ব্যক্ত করে মোদি এসব কথা লিখেছেন।

এবারের আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থতার জন্য যোগ’- যা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।

মোদী তার চিঠিতে লিখেছেন, এই অবিস্মরণীয় প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাদের কোভিড-১৯ যোদ্ধারা উল্লেখযোগ্যভাবে এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। মহামারীর হুমকির মধ্যে গত আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের পর থেকে বেশ কিছু ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি ও ভাইরাস বিষয়ক বৈজ্ঞানিক গবেষণার পাশাপাশি জনগণকে রক্ষার জন্য এখন একাধিক টিকাও রয়েছে আমাদের কাছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। আমি এখনো আশাবাদী যে, মানবজাতি খুব শিগগিরই করোনা মহামারী পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।

চিঠিতে তিনি জানান, যোগব্যায়ামের সর্বজনীন আবেদনের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ২০১৪ সালে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। তখন থেকেই বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। বিগত বছরের মতো এবছরও কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপের মধ্যেই আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হবে।

মোদি লিখেছেন, শরীরের পাশাপাশি যোগব্যায়াম মনের জন্যও বেশ উপকারী। সকল ধরণের সাবধানতা সত্ত্বেও একজন মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু একটি শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একে মোকাবেলার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। যোগব্যায়াম আমাদের সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সাহায্য করে, যেমন শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের ফলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। সারা বিশ্বেই কোটি কোটি মানুষ মাসের পর মাস ঘরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। এর ফলে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও বেশ প্রভাব পড়েছে। নিয়মিত যোগাভ্যাস তাদের এই প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরো লিখেছেন, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য সারা বিশ্বের মানুষের সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার প্রতি উদ্বেগকেই প্রতিফলিত করে। এটি এমন একটি উদ্যোগ যা মানুষের শারীরিক সক্ষমতার পাশাপাশি সুস্থতার প্রতিও গুরুত্ব দেয়।

বাংলাদেশে সফলভাবে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনে সকলের সহযোগিতার জন্য প্রত্যেককে মোদী আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

গত কয়েক বছরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে যোগ দিবস পালনের জন্য বাংলাদেশী ভাই ও বোনেদের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখে অত্যন্ত আপ্লুত হয়েছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনাকে মোদী লিখেছেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সামনের বছরগুলোতেও আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনে আপনার সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

চিঠির শেষে মোদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও দেশের জনগণের সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্যের কামনা করেছেন।
সূত্র : ইউএনবি