বিশ্বের বয়স্কতম পুরুষ-নারী সকলেই জাপানের, তাদের দীর্ঘায়ুর রহস্য কী জানেন?

বিশ্বের বয়স্কতম পুরুষ-নারী সকলেই জাপানের, তাদের দীর্ঘায়ুর রহস্য কী জানেন?

বিশ্বের বয়স্কতম পুরুষ-নারী সকলেই জাপানের, তাদের দীর্ঘায়ুর রহস্য কী জানেন?-

বাড়িতে অনেকই দাদু-দাদীকে শতাধিক বছর বেঁচে থাকতে দেখেছেন। অনেকের দেখলে এও প্রশ্ন জাগে, এই বয়সেও দাদু বেশ ফিট। কী করে সম্ভব? হয়ত এমন প্রশ্ন নিয়ে দাদুর কাচে গেলেন। দেখবেন হয়ত বলে বসবে, ‘আমাদের সময় সবকিছু খাঁটি ছিল, এখনতো সব ভেজাল’। কথা সত্যি বটে। তখনই মনে হয় আমাদের বোধহয় আর ১০০ বছর বাঁচা হবে না। তাই তো ৬০-৭০ বছর পেরোলেই এখন মৃত্যু আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসে মানুষের মনে। কিন্তু জানেন কি, এখনও শতাধিক বছর বেঁচে থাকেন জাপানিরা। তাদের এই দীর্ঘায়ুর রহস্য কী?

কী করে এমন দূষমে ভরা পৃথিবীর মাঝে তাঁরা এত বছর বেঁচে রয়েছেন। জানা যায়, জাপানিদের দীর্ঘায়ুর নেপথ্যে রয়েছে তাদের ডায়েট চার্ট। তাদের খাবার-দাবার অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। সেসব খাবার মৃত্যুকে কাছেই আসতে দেয় না।

এখন প্রশ্ন হল, তাদের খাদ্য তালিকায় কী কী খাবার থাকে? সামুদ্রিক মাছ, মাংস থেকে ফল, সব্জি সবকিছুই খান তাঁরা। তাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকে শস্যদানাও। আর প্রতিটি খাদ্য একেবারে মেপে মেপে খান জাপানিরা। অর্থাৎ নির্দিষ্ট করা থাকে খাদ্যের পরিমাণ।

তাই প্রোটিন থেকে ভিটামিন, তাদের শরীরে সেভাবে কিছুর অভাব ঘটে না। এই খাদ্যাভ্যাসই তাদের দীর্ঘায়ুর প্রধান কারণ। তাইতো মৃত্যুও তাদের থেকে অনেকটাই দূরে থাকে।

এই দীর্ঘায়ুর জন্য জাপান কিন্তু বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল। প্রায় ১১৩ বছর বেঁচে রেকর্ড গড়েছিলেন জাপানেরই চিতেতসু ওয়াতানাবে। তিনিই বিশ্বের বয়স্কতম পুরুষ। দীর্ঘায়ুর রহস্য ফাঁস করে তিনি বলেছিলেন, খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি হাসিখুশি থাকাও খুব জরুরি। তাই বেশিদিন বাঁচার জন্য হাসিখুশি থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।

কানে তানাকার কথা শুনেছেন নিশ্চয়। বিশ্বের বয়স্কতম মানুষ হলেন ইনি। বেঁচে ১১৮ বছরেরও বেশি। এই মহিলাও কিন্তু জাপানের বাসিন্দা।

এমন ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে জাপানে। তাদের দীর্ঘায়ুর গল্প বলতে গেলে হয়ত শেষই হবে। তবে এটুকু বলা যেতেই পারে যে, এই দীর্ঘায়ুর পেছনে কিন্তু খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। -কোলকাতা২৪