ইউরো থেকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিদায়

ইউরো থেকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিদায়

টাইব্রেকারে শেষ শট মিছ করা পর কিলিয়ান এমবাপ্পে কে সান্ত্বনা দিচ্ছে সতীর্তরা

বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও গত আসরের ইউরোর রানারআর্প ফ্রান্স শেষ ষোলোর ম্যাচে সুইজাল্যান্ডের কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছে ইউরোর এবারের আসর থেকে। কিলিয়ান এমবাপ্পের প্লান্টি মিছ করার সুবাদের তাদের কে বিদায় নিতে হয়ে এবারের আসর থেকে।

সোমবার দিবাগত রাতে রুমানিয়ার বুখোরেস্টে শেষ ষোলোর ম্যাচে মুখোমুখি হয় দু’দল। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে খেলা ৩-৩ গোলে সমতা থাকার পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে কোনো গোল হয়নি। পরে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে জয় পায় সুইসরা।

 খেলার প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। হারিস সেফেরোভিচের নৈপুণ্যে গোলের দেখা পান সুইসরা। বাঁ থেকে স্টিভেন জুবেরের দারুণ ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান সেফেরোভিচ।

আর প্রথমার্ধে বলদখলের লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও সমতায় ফিরতে পারেননি ফরাসিরা।  ফলে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই রিরতীতে যায় ফ্রান্স।  

৫২তম মিনিটে একটি সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে সুইজারল্যান্ড। পেনাল্টি মিস করে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেনি তারা।

ডি-বক্সের লাইনে জুবেরকে ডিফেন্ডার বাঁজামা পাভার্দ ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে নেওয়া রিকার্দো রদ্রিগেসের দুর্বল কিক ঠেকিয়ে দেন ফরাসি গোলরক্ষক উগো লরিস।

এর পরই জেগে ওঠেন বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। অবিশ্বাস্যভাবে দুই মিনিটে  ২ গোল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে লিড নেন করিম বেনজেমা।

৫৭তম মিনিটে এমবাপ্পের ডি-বক্সের মুখে বাড়ানো বল অসাধারণ দক্ষতায় বাঁ পায়ের ফ্লিকে বল সামনে টেনে নেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। দ্বিতীয় টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন। সমতায় ফেরেন ফরাসিরা।

ওই গোলের দুই মিনিট পর ফের এমবাপ্পের ব্যাকহিলে বল ধরে গ্রিজমান দূরের পোস্টে ক্রস বাড়ান। আর লাফিয়ে মাথা ছুঁইয়ে হেডে জালের ঠিকানায় বল পাঠান বেনজেমা।

স্কোরলাইন গিয়ে দাঁড়ায় ২-১ এ।  ৭৫তম মিনিটে অনেক দূর থেকে পল পগবার জোরালো শট ক্রসবার ঘেঁষে জালে জড়ায়। স্কোরলাইন ৩-১ করেন পগবা।

পিছিয়ে পড়ে দিশেহারা সুইজারল্যান্ড ৮০তম মিনিটে দারুণ এক গোলে ব্যবধান কমায়। এমবাবুর ক্রস থেকে হেডের মাধ্যমে নিজের জোড়া গোল পূরণ করেন সেফেরোভিচ। আর ম্যাচের শেষ মিনিটে চমক দেখায় দলটি। বাঁ দিক থেকে মারিও গাভরানোভিচ শট করে গোলটি করেন। সেইসঙ্গে নিজেদের ম্যাচে বাঁচিয়ে রাখেন।

নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-৩ করেন তিনি।

চার মিনিট যোগ করা সময়ে ফল আনতে পারেনি দুই দলের কেউ। যদিও ১১০তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি আসতে পারত এমবাপ্পের পা থেকে। ডি-বক্সে দারুণ পজিশনে বল পেয়েও পাশের জালে মারেন পিএসজি ফরোয়ার্ড।  ফলে মূল ম্যাচের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে দুদল আরো বেশ কয়েকটি চেষ্টা করলেও গোল হয়নি। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

সুইজারল্যান্ড তাদের প্রথম পাঁচ শটের সবকটিতেই সফল, ফ্রান্স সফল প্রথম চারটিতে। তাদের শেষ শট নিতে আসেন বিশ্বকাপজয়ী এমবাপ্পে। তার শটটিই ঠেকিয়ে দেন সমের।  ফলে সুইজারল্যান্ড ৮-৭ গোলে জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।