প্রথম ত্রিপুরা হিসাবে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন প্রতিমা ভৌমিক

প্রথম ত্রিপুরা হিসাবে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন প্রতিমা ভৌমিক

প্রথম ত্রিপুরা হিসাবে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন প্রতিমা ভৌমিক- সংগৃহীত ছবি

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যকে বড় উপহার দিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ত্রিপুরা থেকে স্থান পেলেন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক। তিনি পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ। বুধবার (০৭ জুলাই) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রের সাংসদ।

ত্রিপুরায় বামদের দাপটে বিজেপি যখন কার্যত অস্তিত্বহীন ছিল, তখন থেকে বিজেপি করে আসছেন প্রতিমা। ১৯৯১ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। প্রতিমা ভৌমিক আগরতলার রাজনীতিতে লড়াকু নেত্রী হিসেবে পরিচিত । ১৯৯৮ সাল থেকে ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসবে টানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছেন তিনি। ২০১৮ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বিরুদ্ধে। ২০১৮ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি-িআইপিএফটি জোট ক্ষমতায় আসে। যদিও ধনপুর কেন্দ্র থেকে হেরে যান প্রতিমা ভৌমিক। কিন্তু তাতে দমে যাননি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে বিজেপি টিকিট দেয় প্রতিমা ভৌমিককে। এবার নির্বাচনে জয়ের হাসি হাসেন তিনি। দলীয় নেতা কর্মী-সহ সাধারণ ত্রিপুরাবাসীর কাছে ‘দিদি’ হিসেবে পরিচিত সাংসদ প্রতিমা।

প্রতিমাই প্রকৃত ত্রিপুরাবাসী হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া প্রথম ব্যক্তি। এর আগে ত্রিপুরা থেকে যে দুজন সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছিলেন তাঁরা হলেন ত্রিগুনা সেন এবং সন্তোষমোহন দেব। কিন্তু তাঁরা কেউই ত্রিপুরার বাসিন্দা ছিলেন না। ত্রিগুনা সেন পশ্চিমবঙ্গের এবং সন্তোষমোহন দেব অসমের শিলচরের বাসিন্দা ছিলেন। সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ায় ত্রিপুরার উন্নয়নের পথ আরও সুগম হবে বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল । পাশাপাশি ২০২৩ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে সাংসদ প্রতিমা ভৌমিককে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে। এটা বিধানসভার আগে বিজেপি’র মাস্টারস্ট্রোক হতে পারে। -সংবাদ প্রতিদিন