যশোরে করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু

যশোরে করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু

যশোরে করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু-

যশোর প্রতিনিধি: যশোরে কঠোর লকডাউনে যৌথ বাহিনী মাঠে থাকলেও কমছেনা করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু ও করোনায় আক্রান্তের হার। প্রতিদিন বিনা প্রয়োজনে জনগন বাইরে আসলে তাদেরকে আটকসহ জরিমানা করছে প্রশাসন। চেকপোষ্টগুলিতে পুলিশ জেলার বাইরে যাওয়া ও জেলায় প্রবেশ করা  প্রতিটি গাড়ি চেক করছে । 

গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরন করেছেন ১০ জন। এর মধ্যে করোনায় ৭ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান, যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ আরিফ আহমেদ। তিনি আরও জানান মৃতরা বেশীর ভাগই যশোর  ও ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা এবং বেশীরভাগই গ্রামের রোগী। গ্রাম থেকে একবারে শেষ মুহুর্তে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কারনেই গ্রামের রোগীদের মৃত্যুর হার বেশী।

হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃতরা হলেন,যশোর মনিরামপুরের চালকিডাঙ্গার বাসিন্দা আশ্রম আলীর স্ত্রী ৭০ বছর বয়সী জরিনা, সদর উপজেলার আয়জুরের মেয়ে ৪০ বছর বয়সী শাহিদা, বলরামপুরের আবুল খায়েরের স্ত্রী ৬০ বছর বয়সী সায়রা। করোনায় মৃতরা হলেন, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বেগমপুরের বাসিন্দা মৃত চাঁদ আলীর পুত্র আলতাফ, একই এলাকার গফুর মন্ডলের ছেলে ৫৫ বছর বয়সী আব্বাস আলী, যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার পাইকপাড়ার বাসিন্দা বাগান চন্দ্র বিশ্বসের স্ত্রী ৭৫ বছর বয়সী ভানুমতি,সদর উপজেলার বারান্দি পাড়ার বাসিন্দা ইমান আলীর স্ত্রী ৭৬বছর বয়সী জোহরা খাতুন,চৌগাছা উপজেলার মাঠপাড়ার বাসিন্দা তোফায়েল হোসেনের ছেলে ৪০ বছর বয়সী সেলিম, ঝুমঝুমপুরের বিদ্যুৎ করের স্ত্রী ৫৮ বছর বয়সী গঙ্গা দেবী, খোলাডাঙ্গার বাসিন্দা মকবুল আহমেদের ছেলে ৭০ বছর বয়সী কামাল উদ্দীন।

বর্তমানে হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি আছে ১১ জন, এনডিইউতে ভর্তি আছে ১৪ জন,করোনা ও করোনা উসর্গ নিয়ে ভর্তি আছে ২২৬ জন। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৮৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৮ জন।