স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সড়ক পথ এখন সম্পূর্ন দৃশ্যমান

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সড়ক পথ এখন সম্পূর্ন দৃশ্যমান

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সড়ক পথ এখন সম্পূর্ন দৃশ্যমান

পদ্মা সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের উপর সর্বশেস স্ল্যাব বসানোর মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে পদ্মা সেতুর সড়কপথ। সেতুতে রেলপথের স্ল্যাব বাসানোর দুমাসের মাথায় শেষ হলো সড়কপথের স্ল্যাব বসানোর কাজ। সড়কপথে মোট ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়।

আজ সোমবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে পদ্মা সেতুর ১২ ও ১৩ নং পিলারের ওপরে শেষ স্ল্যাব বসানো হয়েছে। এতে সড়কপথের ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে। 

পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের গনমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রোববার পর্যন্ত সেতুর ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে বসানো হয়েছিল ২ হাজার ৯১৪টি। রাত থেকে বাকি তিনটি স্ল্যাব বসানোর কাজ চলছিল। রাতে দুটি ও বাকি থাকা একটি স্ল্যাব সকাল ১০টা ১২ মিনিটে বসানো হয়।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে আগামী অক্টোবর মাসের শেষ দিকে। এ কাজে তিন মাসের মতো সময় লাগতে পারে। সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতু বিভাগকে জানিয়েছে, তারা আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই সব কাজ শেষ করবে। সব মিলিয়ে আগামী মে মাসেই পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব।

প্রকৌশলী সূত্রে আরও জানা যায়, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত সেতু প্রকল্পের সার্বিক কাজ এগিয়েছে ৮৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ২৫ শতাংশ।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছিল ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর।

একইসঙ্গে চলতে থাকে রোডওয়ে ও রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোসহ বাকি কাজ। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যেই এই সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা রয়েছে।